হাওড়ার ডোমজুড় সলোপ বাজার সংলগ্ন একটি দোকানে, এক টাকার বিনিময়ে মিলছে তেলেভাজা ও কচুরি

নিজস্ব সংবাদদাতা : নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে৷ কিন্তু হাওড়ার একটি তেলেভাজা দোকানে দাম বাড়েনি চপ-মুড়ির৷ বিগত ৩০ বছর ধরে একই দামে বিক্রি হচ্ছে তেলেভাজা৷ সকলকে তাক লাগিয়ে ডোমজুড় সলোপ বাজার সংলগ্ন একটি দোকানে, এক টাকার বিনিময়ে মিলছে তেলেভাজা ও কচুরি। প্রতিদিন এলাকার মানুষ লাইন দিয়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে ওই দোকানে তেলেভাজা খেতে ভিড় জমান। তেলেভাজার তালিকায় রয়েছে, ফুলুরি, কচুড়ি, শিঙাড়া, বেগুনি, নিমকি ও তরকারি সহ কচুরি প্রতি পিস এক টাকা।

    শুনতে অবাক লাগলেও, এটাই সত্যি। ওই দোকানে বিগত ৩০ বছর অর্থাৎ দোকানের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে একই দামে পাওয়া যাচ্ছে তেলেভাজা৷ ষোলআনা অর্থাৎ এক টাকায় তেলেভাজা বিক্রি হচ্ছে বলে দোকানের পরিচিতিও ‘ষোলআনার তেলেভাজা’৷ এই নামেই চেনেন দূর-দূরান্তের মানুষ।দুর্মূল্যের বাজারে আলু , বেগুন, ময়দা, বেসনের মত অনেক গুণ দাম বেড়েছে রান্নার তেলেরও৷ এই পরিস্থিতিতে কীভাবে মাত্র এক টাকায় তেলেভাজা দিচ্ছেন? উত্তরে, হাওড়ার ডোমজুড়ের চপ বিক্রেতা গোপাল দে জানালেন, ৩০ বছর আগে বাবার কথা মতো সাধারণ মানুষ যাতে কম দামে চপ, মুড়ি খেতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যে নিয়ে তেলেভাজার দোকান শুরু করেন। বাবার কথা রাখতে যতোদিন বাঁচবেন এক টাকা মূল্যেই তেলে ভাজা বিক্রি করবেন। “নিজের লাভের পরিমাণ কম রেখে বাঙালির প্রিয় চপ মুড়ি গরীব মানুষের মুখে তুলে দিয়ে তাদের যে হাসি ফোটে, তার মুল্যই আমার কাছে লাখ টাকার৷ তাছাড়া মানুষের সেবা করাই মূল লক্ষ্য”, বলে জানান তিনি।অন্যান্য তেলেভাজার দোকানে যেখানে ৫ থেকে ৭ টাকায় চপ বিক্রি হচ্ছে, সেখানে আকারে একটু ছোট হলেও, মাত্র এক টাকায় মানুষ খেতে পারছেন চপ৷ হাওড়া ডোমজুড়ের সলপ বাজারে তার দোকান হলেও, বছর ৬৬ র গোপাল বাবু আদতে হাওড়ার আমতার বাসিন্দা।