থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত এক আদিবাসী শিশুর রক্তদান ও জীবন চলার সমস্ত খরচ করে মুসলিম যুবক পালে খা

সংবাদদাতা : মালদা জেলার গাজোল থানার কদমা গ্ৰামের বাসিন্দা কৃষ্ণ মার্ডি ও বালে সোরেনের একমাত্র মেয়ে জোনাকি মার্ডি। শিশুটির বয়স প্রায় ২বছর। শিশুটি জন্ম থেকেই থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। বাবা কৃষ্ণ মার্ডি একজন পরিযায়ী শ্রমিক। থাকেন ভিনরাজ্যে। বাবা নেশাগ্রস্থ হওয়ায় তেমন খরচ দেন না পরিবারকে।কয়েক মাস পূর্বে একদিন ছোটো বাচ্চাকে নিয়ে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকের সামনে মেয়ের জন্য রক্ত পাওয়া নিয়ে চিন্তায় শোকাহত ছিলেন বালে সোরেন। তাদের চিন্তিত অবস্থায় দেখে এগিয়ে আসেন মহানন্দপুর জিপি রক্তের সন্ধান গ্ৰুপের সদস্য পালে খান। তার বাড়ি চাঁচল ১ নং ব্লকের মহানন্দপুর অঞ্চলের বিষ্টপুর গ্ৰামে। এগিয়ে গিয়ে তিনি জানতে পারেন শিশুটি জটিল থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। শিশুটির প্রয়োজন বি পজিটিভ গ্ৰুপের রক্ত। তৎক্ষণাৎ পালে খান নিজের রক্ত দিয়ে শিশুটির প্রান বাঁচান এবং ভবিষ্যতে শিশুটির রক্তের প্রয়োজন মেটানোর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। শুধু তাই নয় আদিবাসী শিশুটির জীবনের সমস্ত খরচ ও পড়াশোনার সমস্ত খরচের দায়িত্ব তিনি নিজের কাধে নিয়েছেন। নিয়মিত রক্তদান ও আর্থিক সাহায্য পাঠান তিনি। এইরকম জটিল রোগের চিকিৎসা করাতে বেশ অসহায় ছিলেন ঐ আদিবাসী মহিলা। এই রোগের খরচ চালাতে সামর্থ্য নেই তাদের। পালে খানের সাহায্যে খুশি তারা, বালে সোরেন ধন্যবাদ ঞ্জাপন করেন পালে বাবুকে। চাঁচোল থেকে মাতিন রাজীর রিপোর্ট।