কেন্দ্র সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ৩ টে বিল পাস পাঞ্জাব বিধানসভায়

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার প্রস্তাবনা গৃহীত হল পঞ্জাব বিধানসভায়। পাশাপাশি, কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইনের পালটা এ দিন চারটি বিল আনে পঞ্জাব সরকার। বিধানসভায় এ দিন তা সর্বসম্মতিতে পাসও হয়ে যায়। দেশের মধ্যে পঞ্জাবই প্রথম রাজ্য যারা কেন্দ্রের আইনকে প্রত্যাখান করে নতুন কৃষি আইন আনল।

     

    এ দিন বিধানসভা অধিবেশন শুরু হলে প্রথমে কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাবনা আনা হয়। তাতে সর্বসম্মতি মেলার পর কেন্দ্রের কৃষি আইনের পালটা হিসেবে তিনটি বিল পেশ করে রাজ্যের কংগ্রেস সরকার। ৫ ঘণ্টা আলোচনার পরই এই ৩টি বিল সর্বসম্মতিতে পাস হয় বিধানসভায়। যদিও বিজেপি বিধায়করা এতে অংশ নেননি। রাজ্যে বিজেপির মাত্র ২ জন বিধায়ক রয়েছেন। তবে বিজেপি অংশ না নিলেও শিরোমণি অকালি দল, আম আদমি পার্টি ও লোক ইনসাফ পার্টির মতো রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলগুলি এই ৩টি বিলকে সমর্থন করে।

     

    উল্লেখ্য, শিরোমণি অকালি দল আগে এনডিএ-র শরিক ছিল। কেন্দ্রের কৃষি আইনের প্রতিবাদে তারা এনডিএ ত্যাগ করে। সেই দলের বিধায়করাও এ দিন রাজ্যের ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের এই পদক্ষেপকে সর্বতোভাবে সমর্থন করে। রাজ্যের আনা নতুন কৃষি আইনে বলা হয়েছে, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের থেকে কম দামে গম বা শস্য কেনা বা বিক্রি করা বড় অপরাধ।

     

    সেক্ষেত্রে কম করে তিন বছরের জেল ও মোটা টাকার জরিমানা হতে পারে। কেউ যদি কৃষককে ন্যূনতম সহায়ক মূলের থেকে কম দামে ফসল বিক্রি করতে বাধ্য করে, তাও এই আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ছাড়াও ইচ্ছামতো ফসল মজুত রাখা ও কালো বাজারিও এই আইনে বড় অপরাধ। কৃষকদের স্বস্তি দিয়ে ২.৫ একর পর্যন্ত জমি রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

     

    বলা হয়েছে, কোনও কৃষকের যদি আড়াই একর পর্যন্ত জমি থাকে তাহলে তা সরকার বাজেয়াপ্ত করবে না। তার থেকে বেশি জমি থাকলে বাড়তি জমি বাজেয়াপ্ত করা হবে। এ দিন প্রস্তাবনা পেশ করে ম‍ুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং বলেন, ‘আমি পদত্যাগ করতে ভয় পাই না। আমি ভয় পাই না আমার সরকারকে যদি খারিজ করে দেওয়া হয়। কিন্তু কৃষকরা ভুগবে, কৃষকরা ধ্বংস হয়ে যাবে এটা আমি কখনও হতে দেব না।’