সুজাপুরে প্লাস্টিক কারখানায় বিস্ফোরণের পর সেটা বন্ধ রাখার নোটিশ জারি করল প্রশাসন

নতুন গতি ডিজিটাল ডেস্ক: সুজাপুরে বিস্ফোরণকাণ্ডে পর বন্ধ কারখানা বন্ধ রাখার নোটিশ জারি করলো প্রশাসন। ইতিমধ্যে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পক্ষ থেকে সুজাপুরের ওই প্লাস্টিক কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে নোটিশ পাঠিয়ে বন্ধের নির্দেশ জানানো হয়েছে। যদিও একই রকম পরিস্থিতিতে সুজাপুরে একশরো’ও বেশি প্লাস্টিকের এরকম কারখানা চলার অভিযোগ উঠেছে। সেক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওইসব কারখানা বন্ধের নোটিশ কেন জারি করা হলো না, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    যদিও এব্যাপারে প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, সুজাপুরে যে প্লাস্টিকের কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছিল , আপাতত সেটি বন্ধ করে দেওয়ার নোটিশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ দফতরের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে। বাকি কোন কোন কারখানা নিয়মবহির্ভূতভাবে চলছে , সেটি ও তদারকি করে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে ওইসব প্লাস্টিকের কারখানার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, গত ১৯ নভেম্বর সকাল এগারোটা নাগাদ কালিয়াচক থানার সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের স্কুলপাড়া এলাকায় প্লাস্টিকের একটি কারখানায় আচমকাই বিস্ফোরণ ঘটে । এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ছয় জন শ্রমিকের। জখম হন ১০ জন। এই ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই  মৃতদের দুই লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান নিয়ে মালদায় হাজির হন রাজ্যের পুরো ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তারপর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। পরে তদন্তে আসে ফরেনসিক দলের কর্তারা। যদিও এখনও পর্যন্ত প্লাস্টিকের কারখানা বিস্ফোরণের রিপোর্ট প্রশাসনের কাছে আসে নি বলে সূত্রের খবর। যদিও এখনও পর্যন্ত এই দুর্ঘটনার পর ওই প্লাস্টিকের কারখানা বন্ধ রয়েছে। এদিকে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পক্ষ থেকে একটি নোটিশ জারি করে  ওই প্লাস্টিকের কারখানার দুই মালিক আবু সায়েদ খান এবং আমিনুল ইসলামের কাছে।  যদিও আবু সায়েদ খান প্রয়াত হয়েছেন, তার পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই বিজ্ঞপ্তিতে।

    এদিকে সুজাপুর এলাকার একাংশ বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো আমরা বুঝতে পারছি না। যে কারখানায় বিস্ফোরণ হলো সেটি বন্ধ রাখা হলো। এই এলাকায় এরকম ১০০’র বেশি কারখানা চলছে, সেগুলোর মধ্যে অনেক কারখানা ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া অন্যান্য সরকারি নথিপত্র কিছুই নেই। এক্ষেত্রে কেন ওই সব কারখানা বন্ধের উদ্যোগ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হলো না সে ব্যাপারেও প্রতিবাদ করেছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা। এদিকে এই প্রসঙ্গে মালদার অতিরিক্ত জেলাশাসক বৈভব চৌধুরী জানিয়েছেন , সুজাপুরে প্লাস্টিকের কারখানায় বিস্ফোরণ কাণ্ডের পর সেটি বন্ধের নির্দেশ পাঠানো হয়েছে, এসম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। তবে এই ঘটনার পর সুজাপুর এলাকার বিভিন্ন প্লাস্টিক কারখানা কর্তৃপক্ষের প্রশাসনের একটি বৈঠক হয়েছে । সেখানে সরকারি ১১ টি নিয়ম প্লাস্টিক কারখানা কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই মোতাবেক কারখানা গুলি না চলে, তাহলে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।