|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : আরামবাগকে জেলা করতে হবে, এই দাবি নিয়ে আরামবাগ নাগরিক কমিটি অবস্থান বিক্ষোভ করে বুধবার। এদিন শহরের প্রাণকেন্দ্রে আরামবাগের (Arambagh) গৌরহাটি মোড় এই অবস্থান বিক্ষোভ হয়। আরামবাগের সুশীল সমাজ থেকে শুরু করে অনেক সাধারণ নাগরিক এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দুদিন আগেই সাতটি নতুন জেলা তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন। হুগলি (Hooghly) জেলাকে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলি দুটি ভাগে ভাগ করে সংগঠন চালাচ্ছে। একটি শ্রীরামপুর (Serampore) সাংগঠনিক জেলা অন্যটি আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা। তাহলে আরামবাগ কেন প্রশাসনিক ভাবে জেলা করা হবে না? প্রশ্ন তুলছেন আরামবাগ নাগরিক কমিটি। আরামবাগের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি, আরামবাগকে পৃথক জেলা হোক। বিভিন্ন সময় এই দাবি উঠে এসেছে। এই দাবি রেখে বিভিন্ন আন্দোলন এবং বিভিন্ন দফতরে চিঠি দেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন সময়।নতুন TMC ক্ষমতায় আসার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরামবাগকে পৃথক জেলা হিসেবে ঘোষণা করবেন এমনটাই ভেবেছিলেন এলাকার রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীরা। কিন্তু আজও সেই দাবি পূরণ হয়নি। এদিন আরামবাগের গৌরহাটি মোড় অবস্থান বিক্ষোভ চলে আরামবাগ জেলার দাবিতে।স্থানীয়দের দাবি, আরামবাগ মহকুমা থেকে জেলার বিভিন্ন কাজে চুঁচুড়া (Chinsurah) শহরে যেতে হয়। এমনিতেই আরামবাগ মহকুমার বিস্তীর্ণ অংশ কৃষিপ্রধান ও বন্যা কবলিত এলাকা। পর্যটন মানচিত্রে খানাকুলে রাধানগরে রামমোহন রায়ের বসত ভিটে, কামারপুকুর রামকৃষ্ণদেবের জন্মস্থান ও আরামবাগের বনমালীপুরে বিদ্যাসাগরের পৈত্রিক বাড়ি। আরামবাগের গান্ধী ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল চন্দ্র সেন। সে কারণেই আরামবাগ নতুন জেলা ঘোষণা না হওয়া হতাশ আরামবাগবাসী। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনরত সাহিত্যিক বিভ্রাশু দত্ত বলেন “মুখ্যমন্ত্রী আরামবাগ জেলা ঘোষণা না করায় আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি। যেখানে অন্যান্য জেলা থেকে সাতটি জেলা ঘোষণা করলেন, সেখানে আরামবাগ বাদ রইল কেন? প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল চন্দ্র সেন বাম আমল থেকেই আরামবাগ জেলা করার পক্ষপাতী ছিলেন। আমরা আশা করেছিলাম, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরামবাগকে জেলা করবেন।” আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা প্রেস ক্লাবের সম্পাদক সজল সামন্ত বলেন, “দীর্ঘদিনের দাবি আরামবাগবাসীর যে আরামবাগ জেলা হবে। সেই দাবি কবে পূরণ হবে? তা আমরা কেউই আর জানি না। মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছা থাকলে নিশ্চয়ই করতেন।”