সোনার ফসল ফলাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন কারিগররা

সোনার ফসল ফলাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন কারিগররা

    বাবলু হাসান লস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়া ,ঠিক মত সময়ে জল না দেওয়ায় ঝলসে গেল ধান গাছ। সোনার ফসল ফলাতে জমিতে সর্বদা ইলেকট্রিক এর মাধ্যমে সাবমার্সিবল পাম্পের সাহায্যে জল তুলে জমিতে দিতে হয়। এই মূহুর্তে জল ঠিকমতো উঠছেনা । আশেপাশে যে সমস্ত পুকুর,খাল বিলে যে পরিমাণ জল আছে তা লবণাক্ত হয়ে গেছে। জমিতে দেওয়া যাবে না । এই জল দিলে সঙ্গে সঙ্গে রোয়া মরে যাবে । জমিতে জল না দেওয়ার ঘটল বিপত্তি । এখান কার চাষিদের মাথায় হাত। একদিকে ফসলের সঠিক দাম না পাওয়ায়, তার উপর বীজ ও সার এর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং সরকার এতে ভর্তুকি না দেওয়ায় আরো বেশি করে লোকসান এর সম্মুখীন হচ্ছেন তারা । রুজি রোজগার তলানিতে ঠেকেছে। পুরুষানুক্রমে এই চাষ আবাদের মাধ্যমে তাদের জীবিকা নির্বাহ হয়,আর এই মুহূর্তে যে ক্ষতির আশঙ্কায় তারা ভুগছেন পার বেকি মহাজনের কাছ থেকে নেওয়া টাকা এবং সার দোকানের দেনা কি ভাবে মেটাবে। অনেক আশা ভরসা নিয়ে এই চাষাবাদ করেছিল তারা, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের মাথায় হাত কিভাবে তাদের পরিবার-পরিজনের মুখে অন্ন তুলে দেবেন । কেমনে তারা মহাজনের কাছ থেকে নেওয়া দেনার বোঝা কেমনে মাথা থেকে নামাবে । এই দেনার বোঝা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষার দম্পতিরা। মনের টানে জমির আশেপাশে যাওয়ার পর, মুখে “মেঘ দে পানি দে ছায়া দেরে তুই, আল্লাহ মেঘ দে পানি দে” আর এই বুলি আওড়াতে আওড়াতে মাসের পর মাস কেটে গেলেও একচিলতে বৃষ্টির দেখা মেলেনি। আকাশে মেঘের ঘনঘটা ও বিদ্যুৎ চমকানোর যে আওয়াজ, সেই আওয়াজে ধরিত্রীর বুকে বৃষ্টি নামার সম্ভাবনা ও থাকে । কিন্তু তা আর দেখা মিলছেনা । আর কিছু দিন কাটতে না কাটতে অন্যান্য চাষিরা সোনার ফসল গোলায় তুলবে। কিন্তু এই সমস্ত চাষিরা কি ভাবে তুলতে পারবে তাদের ক্ষেতের এই ফসল । তাদের জমিনে ফসল হবে না। এই মুহূর্তে চাষীদের করুণ আকুতি দেখা ও শোনার মানুষের অভাব । আর এই চিত্র উঠাতে, চাষির কান্নার সেই চিত্র আমাদের কে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে । কান্নায় বুক ভাসানোর কারন, সন্তান-সন্ততিদের লালন পালন করবে কেমনে তারা। মহাজন দেনা মেটাবে কি ভাবে এই দেনার বোঝা কি ভাবে তাদের মাথা থেকে নামবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় এলাকার বহু চাষী।