|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- বেলা পর্যন্ত ঘরের দরজা বন্ধ। ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়াশব্দ নেই। সন্দেহ হওয়ায় পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকতেই চমকে যান তাঁদের নজরে পরে ঘরের সিলিং থেকে ঝুলছে যুবকের দেহ। মেঝেতে পড়ে গলায় গামছা জড়ানো তাঁর স্ত্রীর মৃতদেহ। তাঁদের কিশোরী মেয়ের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে খাটের উপরে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার খাজুরডিহি অঞ্চলের পানুহাট বৈদ্যপাড়ায়। একসঙ্গে তিন জনের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম নইম শেখ(৩৪), কামরুন বিবির (২৯) ও পিঙ্কি খাতুন(১৪) । এদিকে ওই দম্পতির ও তাঁদের কিশোরী কন্যার মৃত্যুর কারন নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে । জানা গিয়েছে, পানুহাট বৈদ্যপাড়ার বাসিন্দা নইম শেখরা ছয় ভাই । তিনি ছোট । পেশায় গাড়িচালক নইম স্ত্রী কামরুন বিবি ও একমাত্র সন্তান পিঙ্কি খাতুনকে নিয়ে আলাদা সংসারে থাকতেন । পিঙ্কি জন্ম থেকেই মূক ও বধির। সে স্থানীয় একটি স্কুলে নবম শ্রেণীতে পড়াশোনা করত। অভাবের সংসার ছিল নইমের। পুলিশ ও স্থানীয়দের অনুমান, হয়তো বিষ খাইয়ে স্ত্রী ও কন্যাকে প্রাণে মেরে দেওয়ার পর নইম নিজে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। অনেকে আবার মনে করছেন অভাব অনটনের কারণেই হয়তো পরিবারটি এমন চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছে । প্রকৃত কি কারণে একই পরিবারের তিন জনের এমন মৃত্যু হল তার উত্তর এখনও পাননি তদন্তকারী পুলিশ অধিকারিকরা। পরিবারের অন্য সদস্যরা জানিয়েছেন,রাতে খাওয়া দাওয়া সেরে নঈমরা সবাই শুয়ে পড়ে । অন্যদিন ওরা সবাই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়লেও এদিন দশটা বেজে গেলেও নঈমদের পরিবারের কারুরই সাড়াশব্দ পাওয়া যায় না। প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনরাও ডাকাডাকি করে নইম ও তাঁর পরিবারের কারুর সাড়া না পেয়ে পুলিশেখবর দেয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরের ভিতর থেকে তিনজনকেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। পুলিশ নঈমের আত্মীয় পরিজনের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করছে নঈমের পরিবারে প্রকৃত কি সমস্য ছিল। যাঁর কারণে পরিবারের সবাইকে প্রাণ খোয়াতে হল।