|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- মেদিনীপুর থেকে কলকাতা যাওয়ার মূল সংযোগকারী বীরেন্দ্র সেতুর ভগ্নদশা। আর সেই ভগ্নদশা ব্রীজের হাল ফেরাতে সেতুর পরিদর্শনে এলেন জাতীয় সড়ক অথরিটি এবং রাজ্যর পূর্ত দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ারদের দল। তারা এদিন ব্রীজের বর্তমান অবস্থা খতিয়ে দেখলেন। ব্রীজের প্রযুক্তিগত যে সমস্ত দুর্বলতা রয়েছে সেবিষয়ে দৃষ্টিপাত করেন চিফ ইঞ্জিনিয়ারদের এই দল। পরে পরিদর্শনকারী দলের চিফ ইঞ্জিনিয়ার রাজিব চট্টরাজ জানান, এই বর্তমান ভগ্নদশা ব্রীজটি দ্রুত মেরামত করার শুরু করা হবে। পাশাপাশি আরও একটি নতুন ব্রীজ তৈরীর পরিকল্পনা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গ ক্রমে বলা যায়, মেদিনীপুর থেকে কলকাতা যাওয়ার মুল সংযোগকারি সেতু হল কাঁসাই নদীর ওপর অবস্থিত এই দেশপ্রাণ বীরেন্দ্র শাসল সেতু। ১৯৭২ সালে তৈরী এই সেতুর উপর দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার লরি বাস পণ্যবাহী ট্রাক মোটরবাইক অ্যাম্বুলেন্স এবং সাইকেল সহ ছোট গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করেন কয়েক লক্ষ মানুষ জন। শুধু মেদিনীপুর থেকে কলকাতা যোগাযোগ বললে বলা ভুল হবে মূলত দুর্গাপুর আসানসোল সহ পুরুলিয়া ও বিষ্ণুপুরের সড়ক পথের মূল যোগাযোগ মাধ্যম হল এই বীরেন্দ্র শাসমল সেতু।কিন্তু এই সেতু দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ। বহুবার এই নিয়ে অভিযোগ করেছেন পথচলতি মানুষ সহ স্থানীয় মানুষজন। বছর দুয়েক আগে এ বীরেন্দ্র সেতুর বেশ কিছু অংশ ভেঙে পড়েছিল। সেই সময় তড়িঘড়ি সমস্ত যানবাহন বন্ধ করে মেরামতের নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলার জেলাশাসক ডাঃ রেশমি কমল। তিনি এ-ও বলেছিলেন যে নতুন করে একটি ব্রিজের ভাবনা-চিন্তা করা হচ্ছে যা খুব দ্রুত তৈরি করা হবে।যদিও পরবর্তীকালে তা গড়ে তোলা হয়নি। কেবল মাত্র জোড়াতাপ্পি দিয়ে এই সমস্যা এড়িয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। যদিও এরপর জেলা শাসক বদলি হয়েছেন।