একটানা বৃষ্টি চলাকালীন ঢালু পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা কোনন্গর পৌরসভার চেয়ারম্যানের গাড়ি পড়ে যায় গঙ্গার জলে

নিজস্ব সংবাদদাতা : দীর্ঘ ঢিলেমির পর রাজ্যে গতি বেড়েছে বর্ষার। কিন্তু তাতে বিপাকে পড়লেন কোনন্গর পৌরসভার চেয়ারম্যান  বুধবার একটানা বৃষ্টি চলাকালীন ঢালু পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা তাঁর গাড়ি পড়ে যায় গঙ্গার জলে (Ganga)। খোঁজ পড়তে দেখা যায় জেল ভাসছে গাড়ি। লঞ্চে বেঁধে সেই গাড়ি গঙ্গার জল থেকে তোলার প্রচেষ্টা চলছে। ভেসে যাওয়া গাড়িটি কোন্নগর পৌরসভার চেয়ারম্যান স্বপন দাসের । ওই বোলেরো গাড়িটি চেপেই দফতরে আসেন তিনি। গাড়ি দাঁড় করানো থাকে পৌরসভার বিপরীত দিকে, গঙ্গার পাড়ে। বুধবার সকালেও রুটিনমাফিক গাড়ি নিয়েই দফতরে আসেন তিনি। গাড়িও রেখে দেওয়া হয় নির্দিষ্ট জায়গায়। কিন্তু বিপত্তি বাধে বৃষ্টিতে । এ দিন বিকেল থেকে গতি বেড়েছে বৃষ্টির। সঙ্গে বইতে থাকে ঝোড়ো হাওয়াও। আবার যে জায়গায় গাড়ি দাঁড় করানো হয়, সেখান থেকে গঙ্গার ঘাটের দিকে মাটি কিছুটা ঢালু। তাতেই গড়িয়ে গাড়িটি গঙ্গায় পড়ে যায় বলে অনুমান করা হচ্ছে। বৃষ্টি পড়ছিল বলে ঘটনার সময় গাড়িটির আশেপাশে কেউ ছিলেন না। তাই গাড়িটিকে গড়িয়ে গঙ্গার জলে পড়তে কেউ দেখেননি বলে জানা যাচ্ছে। দফতরের বাইরে পৌরসভার চেয়ারম্যানের গাড়িটিকে দেখতে না পেয়ে শোরগোল পড়ে যায়। এদিক ওদিক খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, গঙ্গার জলে ভাসছে গাড়ি। তখন বেলা গড়িয়ে গিয়েছে এমনিতেই। গাড়িটি উদ্ধারে তাই শুরু হয় তোড়জোড়।

     

    চেয়ারম্যানের গাড়ি ভেসে যাওয়ার কথা জানতে পেরে পুরসভার কর্মীরা লঞ্চেে চেপে গাড়িটিকে উদ্ধারের চেষ্টায় নামেন। জোগাড় করা হয় একটি লঞ্চ। লঞ্চ মাঝ গঙ্গায় নিয়ে গিয়ে গাড়ির সঙ্গে দড়ি বেঁধে সেটিকে টেনে কোন্নগর ফেরিঘাটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে, যাতে সেখান থেকে যথাস্থানে ফিরিয়ে আনা যায় গাড়িটিকে।পৌরসভার চেয়ারম্যান স্বপনবাবু জানিয়েছেন, ঘটনার সময় নিজের দফতরেই ছিলেন তিনি। কী ভাবে গাড়িটি গঙ্গার জলে গিয়ে পড়ল, তা কেউ দেখেননি। তবে অনুমান,গঙ্গার ঘাটের দিকটা ঢালু হওয়ায় হাওয়ার চোটে গাড়িটি গড়িয়ে গঙ্গায় পড়ে যায়।