দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে গেল বীরভূমের নলহাটির দেবগ্রামঘাটের কজওয়ে

নিজস্ব সংবাদদাতা: দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে (rain) বন্ধ হয়ে গেল বীরভূমের (birbhum) নলহাটির (nalhati) দেবগ্রামঘাটের কজওয়ে (causeway)। তুুমুল বর্ষণে ব্রাহ্মণী নদীর (Brahmani River) জল বাড়ছিলই। তখনই প্রমাদ গোনেন স্থানীয়রা। আজ পুলিশ প্রশাসনের (police administration) পক্ষ থেকে যাতায়াতের রাস্তা বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হল।
কী পরিস্থিতি?
নলহাটি থেকে মোড়গ্রাম জাতীয় সড়কের অবস্থা খারাপ হওয়ায় এই রাস্তা দিয়ে ভাল যান চলাচল হয়। অন্ততপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ টি গ্রামের মানুষজন এই কজওয়ে ব্যবহার করেন। তাঁদের বিপদের কথা ভেবেই, দুর্ঘটনা এড়াতে এদিন প্রশাসনের তরফ থেকে এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, গত বছরও একটি মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী ছিল নলহাটি। সে বার ফুলেফেঁপে ওঠা ব্রাহ্মণী নদীর জলের তোড়ে তলিয়ে যান এক যুবক। স্থানীয়রা জানিয়েছিলেন, নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়ে অস্থায়ী রাস্তা দিয়ে তা বইতে শুরু করে। তারই তোড়ে তলিয়ে গিয়েছিলেন যুবক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল, রাতে কাজ সেরে রামপুরহাট থেকে ফেরার পথে সাইকেল নিয়ে ব্রাক্ষণীর উপর অস্থায়ী রাস্তা পেরোচ্ছিলেন তিনি। সাইকেল-সহই তলিয়ে যান। পর দিন সকাল থেকে ডুবুরি নামিয়ে নদীতে তল্লাশি চালাতে হয় প্রশাসনকে। কিন্তু প্রশ্ন হল, যেখানে যে রাস্তা দিয়ে এত মানুষের চলাচল তাকে আরও একটু ব্যবহারযোগ্য করা যায় নাকি?বিক্ষোভ অন্য জেলাতেও…
বর্ষার সময় দুর্ভোগের অভিযোগ এ রাজ্যে নতুন নয়। মালদাতেও এক ছবি উঠে এসেছিল কিছু দিন আগে। এলাকার অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা। প্রতিদিন বিভিন্ন প্রয়োজনে সেই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন অসংখ্য বাসিন্দা। কিন্তু বর্ষা এলেই প্রবল ভোগান্তি শুরু হয়। সামান্য বৃষ্টিতেই জল জমে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পড়েন হরিশ্চন্দ্রপুরের মানুষ। কিছুক্ষণ বৃষ্টিতেই জল জমে যায় এলাকায়। আর তার মধ্যে দিয়েই যাতায়াত করতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। বারবার অভিযোগ জানিয়েও কাজ না হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে। সংস্কারের অভাবে রাস্তার বহু জায়গায় ভেঙে গিয়েছে বলে ক্ষোভ স্থানীয়দের। একাধিক ছোট-বড় নানা গর্ত। সামান্য বৃষ্টি হলেই জমে যাচ্ছে জল। এদিকে এটাই এলাকার অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা হওয়ায় তার মধ্য়ে দিয়েই যাতায়াত করছেন বহু নাগরিক। সব মিলিয়ে নরকযন্ত্রণা অবশ্যম্ভাবী।