পুজো উদ্যোক্তা এবং ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে প্রশাসনিক ও সমন্বয় বৈঠক সারলেন মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা : দুর্গাপুজোর আগে সোমবার কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজো উদ্যোক্তা এবং ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে প্রশাসনিক ও সমন্বয় বৈঠক সারলেন। কলকাতায় এই বৈঠকের পাশাপাশি জেলাগুলির সঙ্গেও ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন তিনি। একইভাবে যুক্ত ছিলেন বীরভূমের সঙ্গেও। বীরভূমে এই অনুষ্ঠানটি হয় সিউড়ির ডিএসএ ইনডোর স্টেডিয়ামে। যেখানে জেলাশাসক বিধান রায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা।এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী বীরভূমে পুজো কার্নিভাল আয়োজিত হতে চলেছে ৭ অক্টোবর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণা নিয়ে বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় জানান, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমরা ব্লক, পৌরসভা এবং অন্যান্য জায়গায় একটি মিছিল বের করব।’’এবার দুর্গা পুজোয় মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী অন্যান্য জেলার মত বীরভূমের সমস্ত রেজিস্টার্ড পুজো উদ্যোক্তা এবং স্বীকৃত ক্লাবগুলি আর্থিক অনুদান হিসেবে ৬০ হাজার টাকা করে পাবে। বিদ্যুৎ খরচের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ ভর্তুকি পাবে এবং দমকল বাহিনীর জন্য খরচে সম্পূর্ণভাবে ভর্তুকি পাবে। ক্লাবগুলি পুজোর জন্য গত বছরের মতো এই বছরও অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ পাবে। এছাড়াও একাধিক সুযোগ-সুবিধার ঘোষণা করা হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রশাসনিক এবং সমন্বয় বৈঠকে উপস্থিত থাকা সিউড়ির চৌরঙ্গী সার্বজনীন দুর্গাপূজো কমিটির সদস্য দেবাশীষ ধীবর মুখ্যমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন তার এই সকল ঘোষণার জন্য। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘোষণার ফলে পুজো উদ্যোক্তাদের আর্থিক চাপ অনেক কমবে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণার পর জেলায় যে পুজো কার্নিভালের ঘোষণা করা হয়েছে তাতেও তারা আনন্দের সঙ্গে অংশগ্রহণ করবেন।