বয়ালে বুথের ভেতরে দেড় ঘন্টা মুখ্যমন্ত্রী, কেনো এতক্ষণ ভেতরে ছিল জানানো নির্বাচন কমিশন

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: নন্দীগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় গত তিনদিন ধরে সন্ত্রাস চালাচ্ছে বিজেপি। এমনই অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামের বয়ালের বুথে প্রায় দু’ঘণ্টা আটকে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছাপ্পা ভোট হচ্ছে বলে খবর পান তিনি। তার পরই রেয়াপাড়ার ভাড়ার বাড়ি থেকে সটান হাজির হন সেই বুথে। সেই সময় বয়ালের বুথের বাইরে তৃণমূল ও বিজেপি, দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতিতে পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে দাঁড়ায়। মমতা বুথে বসেই বিশেষ পর্যবেক্ষকের সঙ্গে কথা বলেন।

     

    এর পরই নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে কথা বলে আশ্বস্ত হয়ে বুথ থেকে বেরোতে রাজি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে কর্ডন করে নিয়ে যায় পুলিশ ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা। এদিকে প্রায় দেড় ঘণ্টা মুখ্যমন্ত্রী বুথে থাকায় প্রশ্ন তুলেছিল গেরুয়া শিবির। তাদের অভিযোগ, মমতা একা ছিলেন না। তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের আরও কয়েকজন বুকের ভেতরে ঢুকে পড়েছিলেন। যা কিনা নিয়মবিরুদ্ধ।

     

     

    এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আটকে পড়ার ঘটনা নিয়ে বিস্তৃত জানাল নির্বাচন কমিশন। একটি বিবৃতি জারি করেছে কমিশন। সেখানে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের সাত নম্বর পোলিং স্টেশনে আটকে পড়েছিলেন। তবে তার জন্য ভোট প্রক্রিয়ায় কোনও অসুবিধা হয়নি। নির্বাচন কমিশনের নিয়োগ করা পর্যবেক্ষক হেমেন দাস ও পুলিশ অবজারভার আশুতোষ রায় প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছিলেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

     

    কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, বয়ালের মোক্তাব প্রাইমারি স্কুল থেকে দুপুর তিনটে বেজে ৩৫ মিনিট নাগাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেরিয়ে আসেন। তিনি সেখানে প্রায় দেড় ঘণ্টা ছিলেন। এই দেড় ঘণ্টায় ভোট প্রক্রিয়ায় কোনও সমস্যা হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেরিয়ে আসা পর্যন্ত ওই বুথে ৭৪ শতাংশ ভোট পড়েছিল। সেই বুথে ততক্ষণে ৯৪৩ জনের মধ্যে ৭০২ জন ভোটার ভোট দিয়েছিলেন।

     

    নির্বাচন কমিশন আরও জানিয়েছে, মমতা যে সময় বুথে আটকে ছিলেন তখন তখন বাইরে প্রায় তিন হাজার মানুষ জটলা করেছিল। তবে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানরা তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। বুথের বাইরে কোনওরকম অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়নি। বয়ালের ওই বুথে কিছু সময়ের জন্য পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলেও ভোট চলেছে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়। কেন্দ্রীয় বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষকরা সমস্ত পরিস্থিতি সামলে দিয়েছেন বলেই দাবি করা হয়েছে সেই বিবৃতিতে।