|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা, বন্দুক উদ্ধারের নির্দেশ দিতেই জেলায় জেলায় তৎপরতা বেড়েছে পুলিশের। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর বোমা ও সেই সঙ্গে বোমা তৈরির মশলা উদ্ধার করছে পুলিশ। এবার সেই তালিকায় নাম যোগ হল বীরভূমের (Birbhum) দুবরাজপুরে। গোপন সূত্রে খবর মিলেছিল। তাতেই তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৩৫টি তাজা বোমা সমেত প্রায় ৩ কেজি বোমা তৈরির মশলা উদ্ধার করল দুবরাজপুর থানার পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দুবরাজপুর থানার সেকেন্দরপুরের শাল নদীর পাশে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেই বাড়ির পাশ থেকে প্রায় ৩৫টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। একইসঙ্গে প্রায় ৩ কেজি বোমা তৈরির বারুদও উদ্ধার করে দুবরাজপুর থানার পুলিশ।তাজা বোমা ও বোমা তৈরির মশলা পাওয়ার পর রবিবার সকাল থেকে এলাকা ঘিরে রাখে পুলিশ। বম্ব স্কোয়াড এসে বোমাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে।
পুলিশি তৎপরতায় বোমা উদ্ধার দিন কয়েক ধরেই এই অভিযান চলছে। যেমন অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের অভিযান। মালদার ইংরেজবাজার ও হরিশ্চন্দ্রপুরে বাজেয়াপ্ত হয় আগ্নেয়াস্ত্র। একই ঘটনা ঘটে পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতেও। রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের পর, বৃহস্পতিবার বগটুই গ্রামে গিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কিছুদিন আগেই রামপুরহাটকাণ্ড প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, যেখানে যত বোমা, বন্দুক, গুলি আছে, এক সপ্তাহের মধ্যে তা উদ্ধার করে নষ্ট করতে হবে।মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশ পেয়েই জেলায় জেলায় অভিযানে নেমেছে পুলিশ।অন্যদিকে গতকাল বাগান পরিষ্কার করতে গিয়ে বর্ধমান শহরে বোমা ফেটে জখম হন গৃহকর্তা। ঘটনাস্থলে যায় বম্ব ডিটেকশন স্কোয়াড। তল্লাশি চালায় পুলিশ কুকুর। বিস্ফোরণের ঘটনায় তুঙ্গে ওঠে রাজনৈতিক চাপানউতোর।