|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা আধুনিক সমাজ জীবন থেকে অনেকটাই পিছিয়ে। যদিও কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের মাধ্যমে বর্তমানে তাদেরকেও আধুনিক যুগের সাথে সমান্তরালে তাল মিলিয়ে চলার জন্য উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। একাধিক তপশিলি জাতি বা উপজাতির ছেলেমেয়েরা বর্তমানে রয়েছেন সরকারি উচ্চ পদে। আর এবার দেশের সর্বোচ্চ পদে গেলেন তাদেরই ঘরের মেয়ে, আর সেই আনন্দে নাচে গানে আনন্দে উল্লাসে মেতে উঠলেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা। ভারতবর্ষের নবনির্বাচিত প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি হওয়ায় আনন্দ উল্লাসে আদিবাসী সম্প্রদায়। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মহিলা দ্রৌপদী মুর্মু। শপথ গ্রহণের পরে তিনি সংসদের সেন্ট্রাল হলে রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথম ভাষণ দেন এবং তার পর থেকেই সকল আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন। এমনই এক চিত্র দেখা গেল নদিয়ার ৩৪ নম্বর মন্ডলের গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে।সেখানকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের প্রথম রাষ্ট্রপতির বিজয় উদযাপন করলেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তপশিলি সম্প্রদায়ের জেলা সভাপতি জেলা নেতৃত্ববৃন্দ। ঢোল ও মাদলের তালে নাচ-গান অনুষ্ঠান করা হয় এবং তার পাশাপাশি গ্রামে আদিবাসীদের একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। আর এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন ভীমপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সকল আদিবাসী সম্প্রদায়।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীবৃন্দ। আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটাই কথা, আজ তাদের ঘরের মেয়ে জাতির মেয়ে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন তাই এবার তাদের মনে হয় একটু সুরাহা হবে। সব মিলিয়ে বলতে গেলে এই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে খুশি সকল আদিবাসীরা। দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে নির্বাচিত হওয়া দ্রৌপদী মুর্মু দেশের সর্বকনিষ্ঠ রাষ্ট্রপতি। তিনি তার ভাষনে বলেন, \”আমি দেশের রাষ্ট্রপতি হওয়া প্রথম ব্যক্তি যিনি ভারতের স্বাধীনতার পরে জন্মগ্রহণ করেছেন।\”স্বাভাবিকভাবেই দেশের সর্বকনিষ্ঠ রাষ্ট্রপতি আদিবাসী সম্প্রদায়ের হওয়ায় খুশি জেলার আদিবাসী মানুষেরা। নদিয়া জেলার একাধিক গ্রামে আদিবাসী নাচ গানে মাতলেন ছেলেমেয়েরা। আর তাই দেখতে ভিড় করে দাঁড়ালেন বহু মানুষ। আদিবাসী শ্রেণীর মানুষেরা আশা করছেন দেশের নতুন রাষ্ট্রপতি তাদের উন্নতির জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।