রাতে শিবুর সঙ্গে কচুরি কেনাবেচা নিয়ে হাতাহাতি পরের দিন মিললো মৃতদেহ!

নিজস্ব সংবাদদাতা : শ্রীরামপুরের এক কচুরি বিক্রেতার অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা শহরে। মৃত কচুরি বিক্রেতা শিবু দাস শ্রীরামপুরের মানিকতলার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রাতে শিবুর সঙ্গে কচুরি কেনাবেচা নিয়ে হাতাহাতি হয় সিরাজ নামে এক ক্রেতার। পুলিশের মীমাংসায় মধ্যস্থতা হয় ওই দু’জনের মধ্যে। তার ঠিক পরের দিন সকালেই কচুরি বিক্রেতা শিবুর মৃত দেহ ঘরে পড়ে থাকতে দেখেন তার পরিবারের লোকজন। পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

    স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর ৫২ শিবু দাস প্রতিদিনের মতোই ব্যবসার জন্য নিজের দোকানে ছিলেন। শিবুর কচুরির দোকান শ্রীরামপুরের মানিকতলাতে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার দোকানে সিরাজ নামে এক ক্রেতা আসেন। কচুরি সিঙ্গাড়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই শুরু হয় বচসা। বচাসা গড়ায় হাতা হাতিতে।মৃত শিবু দাসের মেয়ে সুমিতা দাস পাল বলেন, সিরাজ আগের দিন তার বাবার দোকানে মদ্যপ অবস্থায় এসেছিল। মদ্যপ অবস্থায় থাকার দরুন দোকানে এসে মাতলামি করতে থাকে সে। শিবু বিরোধ করতে গেলে দোকানের ক্যাশ বাক্স ও অন্যান্য খাবার দাবার উল্টে ফেলে দেয় সিরাজ। তারপরে দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। সুমিতার অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতের গন্ডগোলের সময় সিরাজ তার বাবাকে বেধড়ক মারধর করে। বুকে কিল ঘুষি মারে। যার জেরেই মৃত্যু হয়েছে তার বাবার।পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনার সময় উত্তেজিত হয়ে শিবু ওই ক্রেতার মাথায় হাতা দিয়ে আঘাত করলে তার মাথা ফেটে যায়। এরপর আহত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে পুলিশ শিবুকে থানায় নিয়ে যায়। এরপর উভয়পক্ষ বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়ায় পুলিশ শিবুকে ছেড়ে দেয়। পরদিন সকাল বেলায় শিবু দাসের মৃতদেহ তার বাড়ি থেকে নিয়ে আসে পুলিশ। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই মৃত্যুর আসল কারণ সামনে আসবে।