|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : স্ট্রবেরি চাষের মাধ্যমে বিকল্প দিশা দেখাচ্ছে কৃষি দপ্তর, আশার আলো দেখছেন শিল্পাঞ্চলের কৃষকরা।
উত্তর বাঁকুড়ায় রয়েছে মেজিয়া শিল্পাঞ্চল। কৃষিকাজে এই ব্লক অনেকটাই পিছিয়ে। অভিযোগ, শিল্পাঞ্চলের কালো কালি এবং মাত্রাধিক দূষণের ফলে মেলে না সঠিক ফলন। তাই কৃষিকাজে বিমুখ স্থানীয় কৃষকরা। এ বার সেই কৃষকদের আশার আলো দেখাচ্ছে কৃষি দপ্তর। শীতকালীন ফসলের বিকল্প চাষ হিসাবে স্ট্রবেরি চাষের প্রদর্শনী ক্ষেত্র করা হয়েছিল। স্ট্রবেরি চাষের এই সফলতার ছবি তুলে ধরলেন কৃষি আধিকারিকরা। কৃষি দপ্তরের দাবি প্রাথমিক এই ধাপে মিলেছে ব্যাপক সাফল্য।কৃষকরাও শিল্পাঞ্চলে বিকল্প চাষ হিসেবে আগামী দিনে স্ট্রবেরি চাষকে গুরুত্ব দিতে চলেছেন।এ বিষয়ে মেজিয়া ব্লক-এর কৃষি অধিকর্তা শুভেন্দু ঘোষ জানান, ‘‘ কৃষিতে যেহেতু আজকাল উপার্জন কমে যাচ্ছে সেই জন্য চাষিরা অন্যান্য পেশাতে চলে যাচ্ছেন। সেই জায়গায় চাষিদের কৃষিতে নিযুক্ত করে রাখাটাও আমাদের কাছে একটা বিরাট বড় চ্যালেঞ্জ। তাই আমরা এখানে চেষ্টা করছি যে সমস্ত জিনিসের বাজার মূল্য বেশি রয়েছে সেই সমস্ত চাষ এখানে করানোর যাতে চাষিরা একটু বেশি অর্থ পান। এখানের আবহাওয়া এবং যা জলের পরিস্থিতি সেই জায়গাটাকে কাজে লাগিয়ে যাতে কম জল লাগে সেই সমস্ত ফসলগুলোকে এখানে চাষ করানোর চেষ্টা করছি। এ রকমই কম জলে চাষ হওয়া একটি ফসল হল স্ট্রবেরি। স্ট্রবেরির বাজারমূল্য এখন অনেকটাই বেশি। এই স্ট্রবেরি চাষে সিকি কাঠাতে মোট খরচ হচ্ছে ৫৩০০ টাকা। ১৫০ টি চারাতে যদি প্রত্যেক গাছ থেকে ২০০ গ্রাম করে ফলন পাই তাহলে আমরা ৩০ কেজির মতো ফলন পাব যার বাজারমূল্য মিলবে কেজি প্রতি ২৫০ টাকা হিসেবে সাড়ে সাত হাজার টাকা। এই স্ট্রবেরি চাষে এক কাঠাতে ৮৮০০ টাকা পর্যন্ত লাভ চাষিরা পেতে পারেন বলে তিনি জানান। কৃষকদের দাবি, যথেষ্ট লাভজনক এই ফসল তাও আবার খুবই কম সময়ে। স্ট্রবেরি চাষে কৃষিকাজের খরচ এবং পরিশ্রম অনেকটাই কম। বাজারে বেশ চাহিদাও রয়েছে এই ফসলের। তবে শিল্পাঞ্চলের এই ফসল আগামী দিনে বাজারজাত করা সম্ভব হলে আশার আলো দেখতে পাবেন চাষিরা। ফলে আগামী দিনে কৃষকরাও উদ্বুদ্ধ হবেন এই স্ট্রবেরি চাষে।’’ এ বিষয়ে অবশ্য মেজিয়া ব্লক সহ অধিকর্তার কার্যালয় ও আতমা প্রকল্প সর্বতোভাবে কৃষকদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে।