|
---|
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শ্রাবণ মাসে বৃষ্টি সেভাবে না হওয়ায় আমন চাষের খুব ক্ষতি হয়েছিল। অনেক জেলায় ধানের চারা রোপণ করা যায়নি। গত ৬ আগস্ট পর্যন্ত ধানের চারা রোপণ হয়েছিল ৩৩.৬৯ শতাংশ জমিতে। সেখানে ১৭ই আগস্ট পর্যন্ত ৯০ শতাংশ জমিতে চারা রোপণ হয়ে গিয়েছে। যার ফলে খুবই স্বস্তিতে কৃষি দপ্তর। দক্ষিণবঙ্গে যেভাবে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি দেখা দিয়েছিল, তাতে কয়েকদিন আগে পর্যন্ত খুবই দুশ্চিন্তায় ছিল কৃষি দপ্তর। এই পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহে বিকল্প চাষের পরিকল্পনা করতে নবান্নে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন কৃষিমন্ত্রী। সেই সঙ্গে কী করে চাষের জলের ব্যবস্থা করা যায়, তার পরিকল্পনা হয়েছিল।
কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে এই সময় ৪ লক্ষ ২৯ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে ধানের বীজতলা (এমন একটি জায়গা যেখানে বীজ বপন করে বিশেষ যত্নের মাধ্যমে চারা উৎপাদন করা হয়) তৈরীর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত। গত বছর বীজতলা তৈরি হয়েছিল ৪ লক্ষ ৩২ হাজার ১৪১ হেক্টর জমিতে। বর্তমান বছরে ইতিমধ্যে বীজতলা তৈরী হয়েছে ৪ লক্ষ ২২ হাজার ৩৩২ হেক্টর জমিতে। গত বছর এই সময় ধানের চারা রোপণ হয়েছিল ২২ লক্ষ ৯৪ হাজার ৬৭৭ হেক্টর জমিতে। এ বছর ৬ আগস্ট পর্যন্ত সেখানে রোপণ হয় ১৪ লক্ষ ৪৬ হাজার ৩৮৮ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ ৩৪ শতাংশ জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে পেরেছিলেন কৃষকরা। ৯৮.৩৬ শতাংশ জমিতে বীজতলা তৈরী হলেও ধানের চারা রোপণ হয়নি অর্ধেক জমিতে।
কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে দক্ষিণবঙ্গে যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে খরিফ চাষের পক্ষে খুবই ভালো হয়েছে। আরও কয়েকদিন এইভাবে বৃষ্টি হলে চাষের পক্ষে খুবই ভালো হবে। হুগলী, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় বৃষ্টির ঘাটতির জন্য চাষের খুবই ক্ষতি হয়েছিল। এই ক’দিনের বৃষ্টিতে সেই ঘাটতি পূরণ হবে বলে মনে করছেন কৃষিমন্ত্রী।