সাতসকালে প্রৌঢ়ের গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলির পাণ্ডুয়ার সিমলাগড় এলাকায়

নিজস্ব সংবাদদাতা : সাতসকালে প্রৌঢ়ের গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলির পাণ্ডুয়ার সিমলাগড় এলাকায়। মঙ্গলবার সকালে সিমলাগড়ের যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের সামনে ওই মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পর তাঁরা খবর দেন পুলিশকে। ঘটনাস্থলে পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করেছে মৃতদেহ। তা পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।মঙ্গলবার সকালে সিমলাগড়ের কাছে যাত্রী প্রতীক্ষালয় থেকে উদ্ধার হয় এক প্রৌঢ়ের গলাকাটা দেহ। প্রথমে নিহতের পরিচয় জানা যায়নি। পরে জানা যায়, নিহতের নাম শাহনওয়াজ মণ্ডল (৫০)। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কালনার পাতিলপাড়া এলাকায়। সিমলাগড় স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন শাহনওয়াজ। গত দেড় মাস ধরে ওই এলাকায় ছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে থাকতেন স্ত্রী জেসমিনা এবং তাঁদের দুই মেয়ে। মঙ্গলবার বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে পাওয়া যায় শাহনওয়াজের গলাকাটা দেহ। পুলিশ সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করা হয়েছে শাহনওয়াজকে।ঘটনার পর পুলিশ নিহতের তিন জন পরিচিতকে আটক করেছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কী কারণে শাহনওয়াজকে খুন করা হল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে। সোহরাব আলি নামে এক এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‘মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে লোকজন দেখতে পান ওই মৃতদেহটি। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। এর পর পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করেছে। এই প্রথম দেখলাম, সিমলাগড়ের মতো শান্ত এলাকায় এমন কাণ্ড ঘটল।’’