ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব রীতিমতো পড়তে শুরু করেছে শহর কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে

নিজস্ব সংবাদদাতা : গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। বঙ্গোপসাগরে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব রীতিমতো পড়তে শুরু করেছে শহর কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। সোমবারের পর পর মঙ্গলবার সকাল থেকে দফায়-দফায় বৃষ্টি মহানগরী ও লাগোয়া দুই ২৪ পরগনায়। বৃষ্টির জেরে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে জল জমেছে। সময় যত এগোবে বৃষ্টির প্রভাবও ততই বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগামী ১২-১৫ মে পর্যন্ত কলকাতায় বৃষ্টির প্রকোপ থাকার আশঙ্কা। তবে দুর্যোগ মোকাবিলায় পুরোদমে তৈরি রাজ্য প্রশাসনও। ‘অশনি’ আশঙ্কায় লালবাজারে তৈরি হয়েছে ইউনিফায়েড কম্যান্ড সেন্টার। কলকাতা পুলিশের তরফে চালু করা হয়েছে হেল্প লাইন।

    ঘূর্ণিঝড় থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে অশনি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই ঝড় আরও শক্তি হারাবে বলে মনে করছে মৌসম ভবন। আছড়ে না পড়লেও উপকূল ঘেঁষে এই ঝড়ের বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ইতিমধ্যেই ওড়িশা-বাংলার উপকূলের জেলাগুলিতে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে।শহর কলকাতায় সকাল থেকেই দফায়-দফায় বৃষ্টি চলছে। এমনিতেই অল্প বৃষ্টিতে মহানগরীর বিভিন্ন প্রান্তে জল জমে দারুণ সমস্যা তৈরি হয়। তবে এবার ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি আরও বাড়লে পরিস্থিতি আরও বেশি ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।দুর্যোগ মোকাবিলায় পুরোদমে প্রস্তুতি সেড়ে ফেলেছে লালবাজার। কলকাতা পুলিশ তৈরি করেছে ইউনিফায়েড কম্যান্ড সেন্টার। এনডিআরএফ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, কলকাতা পুরসভার কর্মীদের নিয়ে তৈরি হয়েছে বিশেষ দল। সেই দলে রয়েছেন পূর্ত দফতর-সহ বেশ কয়েকটি দফতরের কর্মীরাও।শহরের কোথাও কোনও বিপর্যয়ের খবর পেলেই কাজ শুরু করবে এই বিশেষ দলটি। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৫টি এবাং এনডিআরএফ-এর ২টি দল কলকাতায় রয়েছে। দুর্যোগের খবর পেলেই দ্রুত সেই এলাকায় গিয়ে উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়বেন এই দলের সদস্যরা।

    অশনির জেরে শহর কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের উপকূলর জেলা-সহ পশ্চিম মেদিনীপুরেও প্রবল দুর্যোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এনডিআরএফ-এর ১২টি দল দক্ষিণবঙ্গে মোতায়েন থাকছে। দুই মেদিনীপুরে ৩টি টিম রয়েছে। এছাড়াও দুই পরগনায় এনডিআরএফ-এর আরও ৪টি দল তৈরি রাখা হয়েছে।