সমাপ্তি হলো দ্বিতীয় দফার ভোট, একনজরে দেখে নিন আজকের বিশেষ বিশেষ খবর

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: দ্বিতীয় দফার ভোটেও বিক্ষিপ্ত হিংসার খবর মিলল। বিশেষত দিনভর উত্তপ্ত থাকল নন্দীগ্রাম। কখনও ভোট লুঠের অভিযোগ উঠল, কখনও আবার কার্যত হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি সমর্থকরা। একটি বুথে ঘণ্টাদুয়েক আটকেও থাকলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবমিলিয়ে দ্বিতীয় দফার পাঁচ টি ব্রেকিং নিউজ

    প্রাথমিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দ্বিতীয় দফায় পশ্চিমবঙ্গে ভোট পড়েছে ৮০.৪৩ শতাংশ। বাঁকুড়ায় ভোটদানের হার ৮২.৭৮ শতাংশ, পশ্চিম মেদিনীপুরে ভোট পড়েছে ৭৮.০৫ শতাংশ, পূর্ব মেদিনীপুরে ভোটদানের হার ৮১.২৩ শতাংশ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভোট পড়েছে ৭৯.৬৬ শতাংশ।

    ২,

    দ্বিতীয় দফায় চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার সাক্ষী থাকল নন্দীগ্রামের বয়াল মক্তব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭ নম্বর বুথ। সেখানেই সকাল থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠছিল। তৃণমূলের এজেন্টকেও বসতে দেওয়া হয়নি দাবি করে তৃণমূল। মমতা সেখানে পৌঁছাতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির তৈরি হয়। মমতা যখন বুথের ভিতরে ঢুকে যান, তখন বাইরে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তোলা হয়। রীতিমতো সম্মুখ-সমরে অবতীর্ণ হন তৃণমূল এবং বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো বেকায়দায় পড়ে পুলিশ। নামানো হয় র‍্যাফ। কিছুক্ষণ পর পৌঁছায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। শেষপর্যন্ত প্রায় দু’ঘণ্টা পর মমতাকে বুথ থেকে বের করা হয়।

    ৩,

    কেশপুরে বিজেপি প্রার্থী প্রীতিশরঞ্জন কুয়ারের উপর হামলা চালানো হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।বৃহস্পতিবার গুনাহারা এলাকায় তাঁর গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। গাড়ি ঘিরে ধরে ইটবৃষ্টি হয়। প্রায় ৫০-৬০ জনের একটি দল বাঁশ, লোহার রড, লাঠি দিয়ে হামলা চালায়। একাধিক সংবামাধ্যমের উপরও হামলা চালানো হয়। এলাকায় এসেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার। এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ইতিমধ্যে ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।ঘটনায় ইতিমধ্যে রিপোর্ট তলব নির্বাচন কমিশনের। সুস্থ আছেন বিজেপি প্রার্থী।

    ৪,

    বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং খড়্গপুর সদরের বিজেপি প্রার্থী বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। বিজেপির দাবি, ভোটের দিন সকালে মন্দিরের বাইরে টাকা দিচ্ছিলেন সায়ন্তিকা। পরে একটি সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘অনেকেই তো বলছেন, আমি ভৈরব স্থান মায়ের মন্দিরে পুজো দিয়ে টাকা দিয়েছি। প্রণামীর বাক্সে ১০১ টাকা না দিয়ে মন্দিরের সামনে বসে থাকা গরিব মা-জ্যেঠিমাদের টাকা দিই, আশীর্বাদ নিই, চারটে ভোট পাই, তাতে আমি খুশি। বিজেপি তো টাকা দিয়ে খাইয়ে ভোটটা কেনাচ্ছে।’ অন্যদিকে, হিরণের বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করা এবং বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে বিজেপির প্রতীক পরে প্রবেশের অভিযোগ উঠেছে।

    ৫,

    কয়েকটি এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। মূলত নন্দীগ্রাম থেকে সেই অভিযোগ বেশি উঠেছে