মদ খাওয়ার পর ৮ জনের মৃত্যুর ঘটনায় এবার তদন্তে এলো ফরেন্সিক দল

নিজস্ব প্রতিবেদক:- বর্ধমানে মদ খাওয়ার পর  ৮ জনের মৃত্যুর ঘটনায় এবার তদন্তে এলো ফরেন্সিক দল। বৃহস্পতিবার ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিশেষজ্ঞরা (FSL) বর্ধমানে এসে তদন্ত চালায়। বর্ধমানে দুটি হোটেলে মদ্যপান ও খাবার খাওয়ার পর অনেকে অসুস্থ হন। তাদের মধ্যে আটজনের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। বেসরকারি মতে অসুস্থ ও মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। মদ খেয়ে মৃত্যু হওয়ার পর একাধিক ব্যক্তির দেহ সৎকার করে দেওয়া হয় বলে দাবি স্থানীয বাসিন্দাদের। বিষমদ পান করার জেরেই এই মৃত্যু বলে চাউর হয়ে গেলে রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আবগারি দফতর অবশ্য জানিয়েছে, মদের নমুনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। তাতে কোনও রকম অসঙ্গতি মেলেনি।বৃহস্পতিবার ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দেবাশিস সাহার নেতৃত্বে এফএসএলের দুই সদস্যের একটি টিম বর্ধমান শহরের তারা মা হোটেলে যায়। হোটেল থেকে মদের বোতল-সহ অনান্য নমুনাও সংগ্রহ করেন তাঁরা। পাশাপাশি হোটেল সংলগ্ন অভিযুক্ত হোটেল মালিক গনেশ পাশোয়ানের বাড়িতেও ঢোকেন তাঁরা। বাড়িটি তালা বন্ধ ছিল। পুলিশ তালা ভেঙে ঘরে ঢোকে।ফরেনসিক টিমের সঙ্গে ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের ডিএসপি হেড কোয়ার্টার অতনু ঘোষাল ও বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী। এরপর ফরেন্সিক টিমটি সিংদরজার বাবু হোটেলে গিয়েও নমুনা সংগ্রহ করে।ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দেবাশিস সাহা জানান,নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তা ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না। তবে তাঁরা দেশি মদের বোতল, মদ্যপানের পাত্র-সহ বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।মদ কান্ডে মৃত্যুর ঘটনায় আগে থেকেই তদন্ত করছে জেলা পুলিশ ও আবগারি দফতর। সরকারি দেশি মদে বিষক্রিয়ার কারণেই মৃত্যু ও অসুস্থতা বলে প্রথমে মনে করা হয়েছিল। সেইমতো নমুনা সংগ্রহ করে সরকারি ও বেসরকারি ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিল আবগারি দফতর। কিন্তু সব পরীক্ষাতেই সরকারি ওই দেশি মদে কোনও অসঙ্গতি নেই বলে রিপোর্টে জানা গিয়েছে – দাবি আবগারি দফতরের। তবে এতো অসুস্থতা ও মৃত্যুর কারণ কী খাবারে বিষক্রিয়া? সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে তদন্তে নেমেছে ফুড সেফটি ডিপার্টমেন্ট। তারাও বর্ধমানের লক্ষ্মীপুর মাঠের তারামা হোটেল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। ইতিমধ্যেই তারামা হোটেলের মালিক গনেশ পাশোয়ানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অসুস্থতার কারণে তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরপর এই ঘটনার তদন্তে এল ফরেন্সিক দল।