|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা: ফের গঙ্গায় ভাঙ্গন মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে । বোগদাদনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত প্রতাপগঞ্জ গ্রামে গঙ্গা ভাঙ্গন শুরু হয় গতকাল সকাল থেকে। ইতিমধ্যেই তলিয়ে গিয়েছে দুটি বাড়ি। আরও বেশ কিছু বাড়ি যে কোনও সময়ে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায়। বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত মানুষজন তাদের বাড়িঘর ভেঙে নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
সামশেরগঞ্জে গঙ্গায় ভয়াবহ ভাঙন। তলিয়ে গেল একাধিক বাড়ি। প্রতাপগঞ্জ গ্রামজুড়ে এখন শুধুই সব হারানোর হাহাকার। বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে, আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা এখন ভিটে ছেড়ে নিরাপদ দূরত্বে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। ভিটেছাড়া এই মানুষগুলোর দাবি, প্রশাসনকে বারবার ভাঙনের কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। প্রতাপগঞ্জে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এরিনা খাতুন বলেন, “আমাদের ক্ষতিপূরণ চাই, আমরা কোথায় যাব, আমাদের কিছু নেই, কোনও জায়গা নেই, এখনও পর্যন্ত কেউ আসেনি আমাদের পাশে দাঁড়াতে।’’
উৎকন্ঠা ও হাহাকারের মাঝে, এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের। ভাঙন রুখতে আগে ব্যবস্থা নয় কেন? প্রশ্ন বিরোধীদের। বোগদাদ নগর গ্রামের তৃণমূল নেতা ও পঞ্চায়েত সদস্য সামাউল হক বলেন, “গ্রামবাসীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছি, পঞ্চায়েত থেকে সহযোগিতা করা হচ্ছে।’’ সিপিএমের ধুলিয়ান এরিয়া কমিটির সম্পাদক মোদাসার হোসেন বলেন, “বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কাজ হয়নি, বাস্তুভিটে হারিয়ে কোথায় যাবেন মানুষগুলো।’’ বিজেপি, বিজেপিক মুর্শিদাবাদ উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, “সাধারণ মানুষের সাধারণ পরিষেবা দিতে ব্যর্থ এই সরকার।’’ গঙ্গার ভাঙন এখন প্রতাপগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দাদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। শাসক-বিরোধী তরজায় ব্যস্ত। আর এই মানুষগুলোর কাছে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ একটা নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে বার করা।
একদিকে জলপাইগুড়ির বানারহাট, অন্যদিকে মালদার রতুয়া, ভাসছে গ্রামের পর গ্রাম। রাতভর টানা বৃষ্টি হয়েছে ভুটান পাহাড় ও ডুয়ার্সে। ফুঁসছে ডুডুয়া, জলঢাকা, কালুয়া, আংরাভাসা নদী। জলবন্দি হয়ে পড়েছে দেড়শোরও বেশি পরিবার। টানা বৃষ্টি ঘুম কেড়েছে মালদার রতুয়ার বাসিন্দাদেরও। রবিবারই বিপদসীমা পেরিয়েছে গঙ্গা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ফুলহারের । রুহিমারি, গঙ্গারামটোলা, সম্বলপুর, কোতুয়ালি-সহ প্রায় ২০টি গ্রাম জলের তলায়।