|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা: গত দেড় দশকে একের পর এক ভয়াবহ সাইক্লোন দেখেছে বাংলায। আয়লা, বুলবুল আম্ফান কিংবা যশ, একের পর এক সাইক্লোনগুলির তীব্রতা থেকে বাংলার দক্ষিণ উপকূল তথা সুন্দরবনকে রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ম্যানগ্রোভ। উপকূলবর্তী সমস্ত জায়গায় পাকা বাঁধ তৈরি করা খরচসাপেক্ষ। তবে ম্যানগ্রোভের মতো বায়োশিল্ড প্রাকৃতিক ভাবে সেই কাজ করে এসেছে। তাই সেই ম্যানগ্রোভ সংরক্ষণ এবং নতুন করে ম্যানগ্রোভ বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয় সরকারি তরফে। (Mangrove Afforestation)
গত বছর ঘূর্ণিঝড় যশের পরে নবান্নে বসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে লাগাতে হবে প্রায় ১৫ কোটি ম্যানগ্রোভ। বিগত ঝড়গুলিতে সুন্দরবনকে রক্ষার ক্ষেত্রে ম্যানগ্রোভের গুরুত্ব বিচার করেই সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ঘোষণার এক বছরের মধ্যেই চারা রোপণের কাজ শেষ করেছে সরকার, দাবি পরিবেশমন্ত্রী রত্না দে নাগের। শুধুমাত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনা নয় উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অংশে বাঁধ রক্ষার্থে লাগানো হয়েছে ম্যানগ্রোভ।
তবে শুধুমাত্র রোপণ নয়, রক্ষা করতে হবে এই ম্যানগ্রোভগুলিকে। সম্প্রতি ম্যানগ্রোভ গাছ কাটার ঘটনা বারবার সামনে আসায় উদ্বিগ্ন সরকার। সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে রক্ষা করতে হবে ম্যানগ্রোভকে। চোরাচালান রুখতে প্রশাসনের পাশাপাশি দায়িত্ব নিতে হবে গ্রামবাসীদের, বলছেন পরিবেশপ্রেমীরা। রাজ্য বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য জয়দীপ কুণ্ডুর মতে, “গ্রামবাসীদের দায়িত্ব নিয়ে রক্ষা করতে হবে এই ম্যানগ্রোভকে। ম্যানগ্রোভকে বাঁচাতে পারলেই ভবিষ্যতে বাঁচানো সম্ভব হবে উপকূলবর্তী জেলাগুলিকে”।