|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : কলেজের ক্লাস রুম থেকে কলেজ কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য। ঘটনাটি ঘটে আরামবাগ কালিপুর নেতাজি মহাবিদ্যালয়ে। মৃতের নাম শৈলেন্দ্র বাগ বয়স ৩২ বছর। মৃত শৈলেন্দ্র বাগ নেতাজি মহাবিদ্যালয়ের একজন ডি গ্রুপের কর্মী ছিলেন।
সোমবার সকালে নেতাজি মহাবিদ্যালয়ের ভেতরে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পায় অন্যান্য কর্মীরা। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার মানুষ এসে দেখেন কলেজের একটি রুমে শৈলেন্দু বাগ গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে। এরপরে আরামবাগ থানায় খবর দেয় স্থানীয় বাসিন্দারাই। পুলিশ এসে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মৃত শৈলেন্দ্রকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়।তবে মৃত শৈলেন্দ্র বাগের স্ত্রীর জানান, লোন সংক্রান্ত বিষয়ে জর্জরিত হয়ে পড়েন তার স্বামী। বাড়িঘর করার জন্য অনেক টাকার লোন নিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। প্রথমে তিন লক্ষ টাকা জমি কেনার জন্য ও পরবর্তীতে ছয় লক্ষ টাকা বাড়ি তৈরি করার জন্য লোন নিয়েছিলেন তিনি। অত্যাধিক লোনের কারণে মানসিক চাপ সৃষ্টি হতে থাকে শৈলেন্দ্র বাগের উপরে।এবং সেই মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় তার স্বামী।পুলিশ সূত্রে খবর, এর আগে ওই পরিবারের আরও দুজন গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। একজন ছিলেন শৈলেন্দ্র বাঘের বাবা এবং অন্যজন তার বোন। তাঁরাও লোন সংক্রান্ত বিষয়ে জর্জরিত হয় পড়ার জন্য আত্মহত্যা করেছিলেন।