২০১৪ সালের প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের। অনিয়মের অভিযোগ চাকরি প্রার্থীদের

২০১৪ সালের প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের। অনিয়মের অভিযোগ চাকরি প্রার্থীদের

     

     

     

     

     

    নতুন গতি নিউজ ডেস্ক : ২০১৪ সালের প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের। অনিয়মের অভিযোগ চাকরি প্রার্থীদের। ১৬ হাজার ৫০০ শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে চাকরি প্রার্থীদের একাংশ। সেই প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।

     

    গত ডিসেম্বরের শেষদিকে, ১৬ হাজার ৫০০ জন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা পরই ১০ থেকে ১৭ জানুয়ারি চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ শুরু হয় রাজ্যজুড়ে।

     

    যে সমস্ত প্রার্থীরা ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ এবং পরবর্তীতে প্রশিক্ষণ নেন, তাঁদের কাছে আবেদনপত্র চাওয়া হয়। পর্ষদ সূত্রে খবর, প্রায় ২৬ হাজার ৫০০ জন আবেদন করেন।

     

    এনসিটিই-র বিধি মেনে যাঁরা প্রশিক্ষিত, তাঁদের নথি যাচাই করা হয়। তারপর ইন্টারভিউ মারফৎ মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়।

     

    সাড়ে ১৬ হাজার শূন্য পদের মধ্যে ১৫ হাজার ২৮৪ জনের মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়। ফাঁকা রাখা হয় ১ হাজার ২১৬টি পদ। যেসমস্ত চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগের বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন তাঁদের জন্য পদ ফাঁকা রাখা হয়।

     

    গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজোর দিন ১৬ হাজার ৫০০ শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগে মেধাতালিকা প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এরপরই তালিকায় একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে, এই দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হন কয়েকশো প্রার্থী। মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম অভিযোগ তুলেছিলেন, অস্বচ্ছ মেধাতালিকা প্রকাশ হয়েছে। তাছাড়া ২০১৪-র সফল প্রার্থীদের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ না করেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হয়েছে। এই মর্মেই হাই কোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে মামলা দায়ের হয়েছিল।

     

    ইতিমধ্যে যদিও সংশ্লিষ্ট জেলার শিক্ষা বিভাগ থেকে এই সংক্রান্ত সার্টিফিকেট হাতে পাওয়ার পরই চাকরিতে যোগ দিয়েছেন বহু প্রার্থীই। সোমবার হাই কোর্টের এই স্থগিতাদেশ জারির পর অনিশ্চয়তার মুখে তাঁদের ভবিষ্যতও। রাজ্যের তরফে এ নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে আচমকা এই স্থগিতাদেশে গোটা প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে উঠে গেল প্রশ্ন।

     

    এদিকে ৩১ জানুয়ারি আরও একটি টেট নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই পরীক্ষার ফল প্রকাশ নিয়ে এখনও কোনো খবর নাই।