|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : এবার প্রয়াত তৃণমূল সাংসদ তাপস পালের অর্থানুকূল্যে তৈরি হওয়া শিশু উদ্যান ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপি জেলা পরিষদ সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার নাকাশিপাড়া ব্লকে।জানা গিয়েছে, ২০১৫- ২০১৬ অর্থবর্ষে নদিয়ার নাকাশিপাড়া খিদিরপুরে সাংসদ তাপস পালের অর্থানুকূল্যে আড়াই লক্ষ টাকা ব্যয় করে তৈরি হয় একটি শিশু উদ্যান। গত দুটো বছর করোনা অতিমারির কারণে বন্ধ ছিল সেই শিশু উদ্যান। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় সেটি ক্রমশ আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে যে, দিন কয়েক আগে নদিয়া জেলা পরিষদের বিজেপি সদস্যা দেবস্মিতা দেবীর স্বামী আচমকা বুলডোজার দিয়ে শিশু উদ্যানটি ভেঙে দেন। তাঁর পক্ষ থেকে এই কাজের কারণও জানান হয়েছে। বিজেপির জেলা পরিষদ সদস্যার সামী দাবি করেছেন যে, ওই শিশু উদ্যানটি ব্যবহারযোগ্য ছিল না। আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছিল। যার ফলে পরিবেশ দূষণ হচ্ছিল। সেই কারণেই সেটা আরও সংস্কার করে সজল ধারা প্রকল্প চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তাই শিশু উদ্যানটি ভাঙা হয়েছে। আর এর জন্য জেলা পরিষদ থেকেই অনুমতিও মিলেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছড়িয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে দাবি করা হয়েছে যে, প্রয়াত তৃণমূল সাংসদ তাপস পালের স্মৃতি মুছে দেওয়ার জন্যই বিজেপির দুষ্কৃতী বাহিনী ভাঙচুর চালিয়েছে। পাল্টা বিজেপি দাবি করেছে যে, তৃণমূল নোংরা রাজনীতির চক্রান্ত চালাচ্ছে।এরই সঙ্গে তৃণমূল সাংসদ দ্বারা তৈরি শিশু উদ্যান ভেঙে কিভাবে সজল ধারা প্রকল্প তৈরীর অনুমতি দেওয়া হল, বিজেপি জেলা পরিষদ সদস্যাকে তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘বারো লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি সজল ধারা প্রকল্প তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু পার্ক ভেঙে ফেলার তথ্য আমার কাছে ছিল না। ভাঙার পরে আমি গোটা বিষয়টা জানতে পেরেছি। এটা ভুল কাজ হয়েছে। একেবারেই ঠিক হয়নি। আমি ওই জায়গাটা ঠিক করে দেওয়ার ব্যবস্থা করব। পাশাপাশি সজল ধারা প্রকল্প অন্যত্র করার চেষ্টা করব।’ এই প্রসঙ্গে নদিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি দীপক বসু জানান, তাপস পালের স্মৃতি মুছে ফেলার যে চক্রান্ত করেছে বিজেপি, তার তাঁরা ধিক্কার জানাচ্ছেন। তিনি খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন।