|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:-মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক, বেঘোরে প্রাণ হারাল সন্দেহের রোশে। চোর সন্দেহে গণপিটুনির জেরে মৃত্যু হল নির্দোষ যুবকের। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার করনদিঘী থানার উত্তর কচরা গ্রামে। জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম মহম্মদ জমিরুদ্দিন (২২)। ঘটনাকে কেন্দ্র ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এাকায়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে করনদীঘি থানার পুলিশ।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, করনদীঘির উত্তর কচরা গ্রামের বাসিন্দা জামিরুদ্দিন সাইকেল নিয়ে এ দিন লাহুতারা মামার বাড়িতে বেড়াতে যায়। তবে রাতে আচমকা ঘুম ভাঙতেই বাড়ি ফেরার জেদ চাপে। তখনই সাইকেল নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে বেরিয়ে পড়ে সে। আচমকা রাতে ঘুম ভেঙে সে বাড়ির উদ্দেশ্যে সাইকেলে রওনা হয়। স্থানীয়রা অসসমে পথে তাঁকে দেখে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ভয় পেয়ে যায় ওই যুবক।এর পরই চোর সন্দেহে লাহুতারা গ্রামের বাসিন্দারা মারধর শুরু করে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন উত্তর কচরা গ্রামের আত্মীয় স্বজনরা। তাঁরা গণধোলাইয়ে বাধা দিলেও লাহুতারার বাসিন্দারা তা শোনেনি। গুরুতর জখম অবস্থায় জামিরুদ্দিনকে করনদীঘি গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তিরিত করেন। এরপরই গুরুতর জখম জামিরুদ্দিনকে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নির্দোষ যুবকের মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া এলাকায়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সম্প্রতি রাত সাড়ে নটা নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনার মছলন্দপুরে খুন হয় এক যুবক। ঘটনাটি ঘটে বেড়গুম ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের নকপুলে। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পরবর্তীকালে তল্লাসী চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম অঙ্কন ভঞ্জ চৌধুরি। তাঁর বাড়ি বেড়গুম ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষ্মীপুর গ্রামে। অভিযুক্তের নাম অনির্বান নাগ। তার বাড়ি মছলন্দপুর ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন উলুডাঙ্গা ১নং কলোনিতে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, রবিবার আনুমানিক রাত সাড়ে নটা নাগাদ অঙ্কন ভঞ্জ চৌধুরি নামে ওই যুবককে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে অভিযুক্ত। ধারাল অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার উপর লুটিয়ে পড়েন মৃত যুবক। দ্রুত খবর যায় পুলিশের কাছে। এলাকার লোকজন এবং পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ওই যুবককে স্থানীয় বাউগাছি গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি।