দ্য ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ ইন্ডিয়া ICAI সম্মেলন।

সম্প্রীতি মোল্লা,কলকাতা : কলকাতার বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর দুই দিন ধরে অনুষ্ঠিত হল দ্য ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ ইন্ডিয়ার (ICAI) ইস্টার্ন ইন্ডিয়া রিজিওনাল কাউন্সিল দ্বারা আয়োজিত ৪৭ তম আঞ্চলিক সম্মেলন। সব মিলিয়ে ২৫০০ এরও বেশি সদস্য সারা ভারতে দুদিনের এই সন্মেলনে যোগ দেন। চলতি বছরের সন্মেলনের থিম ছিল ” উত্তিষ্ঠত জাগ্রত ” যার অর্থ হল অন্তঃ নিহিত শক্তিকে জাগ্রত করা।ICAI এবং EIRC দ্বারা আয়োজিত ৪৭ তম আঞ্চলিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন CA (Dr) দেবাশিস মিত্র, মাননীয় সভাপতি, ICAI এবং অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন: CA রঞ্জিত কুমার আগরওয়াল, কাউন্সিল সদস্য, ICAI; CA রবি কুমার পাটওয়া, চেয়ারম্যান, ICAI-এর EIRC এবং আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।এই উপলক্ষে, CA (Dr) দেবাশিস মিত্র, মাননীয় সভাপতি, আইসিএআই তার ভাষণে ত গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী প্রযুক্তির বিকাশের ওপর জোর দেন। তিনি সম্মেলনের কার্বন নিরপেক্ষতার দিকটির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন G20 সামিট 2023-এ সভাপতিত্ব করবে ভারত। অনেক সম্ভবনার দরজা খুলবে। তিনি “এক পৃথিবী এক পরিবার এক ভবিষ্যত” নীতির কথা বলেন। এই মহৎ উদ্দেশ্যের প্রতি ভারতের নেতৃত্ব এবং ইনস্টিটিউটের প্রচেষ্টাকে যুক্ত করার কথা বলেন। তিনি বলেন যে ICAI তার ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য জাতির সেবা এবং সমাজের উন্নতির জন্য কাজ করে যাবে।চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সির পেশাটি প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে ব্যাপক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যা বর্তমানে এই পেশাকে প্রভাবিত করছে। এই পরিবর্তনগুলির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এবং বিশ্বব্যাপী ব্যবসার জন্য বিশ্বস্ত উপদেষ্টা হিসাবে ক্লায়েন্টদের চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন উপায়ে ক্রমাগত তাবিকশিত এবং অভিযোজিত হচ্ছে।বিশ্ব অর্থনীতি ক্রমবর্ধমান জটিল হয়ে উঠছে, ব্যবসাসায়িক সংস্থাগুলি তাদের আর্থিক পরামর্শ এবং নির্দেশিকা প্রদানের জন্য CA-এর উপর নির্ভর করছে।এইজন্য চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের বিশ্বব্যাপী সংঘটিত পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন হতে হবে এবং পরিবর্তিত পরিবেশে কাজ করার জন্য নিজেকে খাপ খাওয়াতে হবে।সম্মেলনের অন্যতম প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল সামাজিক অডিট এবং সামাজিক স্টক এক্সচেঞ্জ। সোশ্যাল স্টক এক্সচেঞ্জ হল একটি শেয়ার যা বেসরকারী এবং অলাভজনক খাতগুলিকে পরিচালনা করার জন্য স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহে তাদের সাহায্য করবে৷ কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার যুগে, দুটি বিষয়ই খুব প্রাসঙ্গিক।বর্তমান আরো একটি প্রাসঙ্গিক বিষয় হল সাসটেইনেবিলিটি এবং ইএসজি। প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকা অন্যতম লক্ষ্য। আমাদের পরিবেশ-বান্ধব লক্ষ্যগুলি অর্জনের জন্য কাদের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি তা জানা দরকার। তিনটি নীতির মধ্যে সঠিক ভারসাম্য খোঁজা দীর্ঘমেয়াদী কর্পোরেট কৌশলের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়া উচিত বলে কনফারেন্সে আলোচ্য বক্তারা মনে করেন।

    সম্মেলনের নেতৃত্বে ছিলেন EIRC, CA এর চেয়ারম্যান রবি কুমার পাটওয়া। অংশগ্রহণকারীরা বলেন এই দুদিনের সন্মেলন তাঁদের অনেক সমৃদ্ধ করেছে।