জলস্তর বাড়ায় জল ছাড়ার সিন্ধান্ত নিল কংসাবতী সেচ বিভাগ

নিজস্ব সংবাদদাতা: বাঁকুড়া শহর থেকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার দূর গেলেই দেখা মিলবে বাঁকুড়ার রাণী মুকুটমণিপুরের জলাধারের সৌন্দর্য। পর্যটকদের কাছে ঘোরার এক আকর্ষণীয় এবং মনোরম জায়গা। নিম্ন চাপের জেরে প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে বাঁকুড়া জেলা জুড়ে। আর এই অবিরাম বৃষ্টিতে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম মাটির বাঁধ প্রায় কানায় কানায় ভর্তি। মুকুটমণিপুর জলাধারের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে চলতি মরশুমে বাঁকুড়ার মুকুটমনিপুর জলাধার থেকে বুধবার সকাল ১১ টা ৪০ মিনিট থেকে চারটি গেটের মাধ্যমে দশ হাজার কিউসেক জল ছাড়া শুরু করলো কংসাবতী সেচ বিভাগ।সেচ দপ্তর সুত্রে জানা যায় এই নিম্ন চাপের গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে মুকুটমনিপুরের পাশাপাশি জল জমেছে পুরুলিয়াতেও। তাই জলস্তর বাড়ায় জল ছাড়ার সিন্ধান্ত নিয়েছে কংসাবতী সেচ বিভাগ। ৪৪০ ফুট জল ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন মুকুটমনিপুর জলাধারে এই মূহুর্তে ৪৩২.৫৫ ফুট জল রয়েছে । তাই বুধবার চারটি লক গেট থেকে প্রায় দশ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হল।

    অন্যদিকে বিপদ এড়াতে মুকুটমণিপুর জলাধারে নিচের এলাকার কংসাবতী নদীর সংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামে জল ছাড়ার বিষয়ে ইতিমধ্যেই মাইকিং করে সচেতন করা হয়েছে বলে সেচ বিভাগ সূত্রে জানা যায়। মুকুটমণিপুর জলাধারে বেড়াতে এসে বিভিন্ন পর্যটক এই মনোরম দৃশ্য উপভোগ করছেন এবং সাথে জল ছাড়ার এই দৃশ্য তাদের ক্যামেরায় ফ্রেমবন্দী করছেন।

    পুলিশের পক্ষ থেকে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে মুকুটমণিপুর জলাধার এলাকায়। মুকুটমণিপুর জলাধার বেড়াতে এসে চৈতালি ধর এবং অর্ঘ্য পাল বলেন অনেকবার মুকুটমণিপুর বেড়াতে এলেও জল ছাড়ার এই অপূর্ব দৃশ্য তারা আগে কোনদিন দেখেননি। বাঁকুড়ার রানী মুকুটমনিপুরের এই অপূর্ব সৌন্দর্য দেখা এক আলাদা অনুভূতি।