দি কোরআন স্টাডি সারকেলের কোরআন পাঠের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা সভা

নিজস্ব সংবাদদাতা : ১৮ই‌ মার্চ, ২০২৩ শনিবার সকাল ১০ ঘটিকায় আল কোরআন একাডেমি লন্ডনের শাখা দি কোরআন স্টাডি সারকেলের উদ্যোগে কলকাতার রবীন্দ্র সদনের নিকট ২, ক্যাথেড্রাল রোডে অবস্থিত একাডেমি অফ ফাইন আর্টসের কনফারেন্স হলে কোরআন নাযিলের মাসে কোরআন পড়ুন ও কোরআন দিয়ে জীবন গড়ুন বিষয় নিয়ে পশ্চিম বাংলার কোলকাতা, উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হাওড়া, হুগলী, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদা, উঃ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার জেলার প্রতিনিধিদের নিয়ে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন আল কোরআন একাডেমি লন্ডনের ডিরেক্টর মুহাম্মাদ শাহ আলম, রাজ্য কনভেনর মাওলানা মহঃ রাকিব হক, আমনতের সাধারণ সম্পাদক জালালউদ্দিন আহমেদ, প্রাক্তন সাংসদ তথা পুবের কলম পত্রিকার এডিটর আহমেদ হাসান ইমরান।দ্বীনিয়াত মোয়াল্লেমা কলেজের কর্ণধার আলহাজ হায়দার আলি সাহেব । বাংলার বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধি, বিশিষ্ট আলেম ওলামাগণ ও আমানত ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের প্রতিনিধিগণ। পবিত্র কোরআনের অ্যারাবিক ও বাংলায় তর্জমাসহ তিলায়তের মাধ্যমে সভার শুভারম্ভ হয়। অ্যারাবিক ও বাংলায় তর্জমা করেন যথাক্রমে মাওলানা ক্বারি জাভেদ আলি ও মাওলানা মহঃ রাকিব হক । দি কোরআন স্টাডি সারকেলের কাজের খতিয়ান ও খসড়া প্রতিবেদন পাঠ করেন মাওলানা মহঃ রাকিব হক । আগামী দিনে দি কোরআন স্টাডি সার্কেলের কাজের পরিধি কি হবে সে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন মোহাম্মাদ শাহ আলম সাহেব । তিনি আরও বলেন অনুবাদকৃত কোরআন ছাপাতে কমবেশি 150 টাকা খরচ হয়, আমানত ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন ধরে এ কাজের সঙ্গে যুক্ত আছে, আরও সবাই যেন এই কাজের সঙ্গে সাহায্য সহযোগিতা করেন বিশেষ করে ফান্ড কালেকশনে ব্যপারে তিনি তা উল্লেখ করেন। রমজান মাসে কোরআন পড়া ও প্রচারের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন মাওলানা তাহেরুল হক ও মাওলানা জাকির হোসেন । হায়দার আলী সাহেব মেয়েদের কোরআন শেখার ব্যাপারে দ্বীনিয়াত মোয়াল্লিমা কলেজের কথা উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন আমাদের টেকিং মুসলিম না হয়ে ওয়ার্কিং মুসলিম হতে হবে। মাওলানা জাকির হোসেন কোরআন শরীফের চারটি দাবির কথা উল্লেখ করেন। যেমন- কোরআন পড়া, কুরআনের অর্থ বুঝতে পারা, কোরআন অন্যের কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং কোরআনের আদেশ নির্দেশ আমল করা। ইমরান সাহেব বলেন – পবিত্র কোরআন হলো মানুষের হেদায়েত জন্য। কোরআন সমাজ, আখেরাতকে সমৃদ্ধ করে। তাই যুবক সময়ে এ কোরআন পড়া থেকে বিরত থাকা যাবেনা। কারণ পবিত্র কোরআন মানুষের হেদায়াতের জন্যই নাজিল হয়। মহিলারা বেশি বেশি করে কোরআন পড়ার অভ্যাস করতে হবে । আগামীদিনে জেলার সকলকে নিয়ে একদিনের একটি কর্মশালা করতে হবে। ইঞ্জিনিয়ার হায়দার হোসেন সাহেব ডিজিটাল কোরআন পাঠের কথা উল্লেখ করেন।আমরা গোটা রাজ্য জুড়ে কোরআন পৌঁছে দিতে চলেছি, সেটা যদি আমরা পৌঁছে দিতে পারি তাহলে কোরআনে ভাল কাজের আদেশ এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকার যে নিষেধ আছে সেটা আর মানুষদের নিজেদের জীবনে কাজে লাগাতে পারে তাহলে আমাদের পরিবার, আমাদের সমাজ, আমাদের রাজ্য, আমাদের দেশ সুনাগরিক তৈরি করতে পারব আগামী দিনে।রমজান মাসে প্রতি শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর অর্থাৎ দুপুর দুটো থেকে চারটি পর্যন্ত কোরআন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে গুগল মিটের মাধ্যমে। ইতিমধ্যে দি কোরআন স্টাডি সার্কেলের উদ্যোগে অনুবাদকৃত কোরআন সারা বাংলায় প্রায় এক লক্ষ ছাপানো ও বিতরণ করা হয়েছে । সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জালালউদ্দীন আহমেদ এবং মোহাম্মদ শাহ আলম সাহেবের দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্তি হয়।