|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : সম্প্রতি নদিয়াতেও তৃণমূলের দলীয় স্তরে রদবদল হয়েছে। তারপরেই আসরে নেমেছে বিজেপি। তৃণমূল নতুন যাদের নেতা করেছে, তাঁদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্যের শাসক দলকে বিঁধতে কোমর বাঁধছে পদ্ম-শিবির। নিয়োগ দুর্নীতি মামলা ও গরু পাচার মামলা নিয়ে রাজ্য এখন তোলপাড়। তৃণমূলের ২ হেভিওয়েট নেতা গ্রেফতার হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব এবং তৃণমূলের আরও এক দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। তারপরেই দুর্নীতির অভিযোগকে হাতিয়ার করে আরও বেশি করে আন্দোলনে নেমেছে বিরোধীরা। এরই মধ্য়ে বিভিন্ন ব্লকস্তরে দলীয় নেতৃত্বের বদল করেছে তৃণমূল। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের মধ্য়েই অসন্তোষের ঘটনা দেখা দিয়েছে। এবার নদিয়া (Nadia) জেলায় তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদলের পর সরব হল বিজেপি। শনিবার নদিয়ায় সাংগঠনিক রদবদল ঘটিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। একাধিক ব্লকের সভাপতি বদলে দেওয়া হয়েছে। কোনও কোনও যুব নেতার পদোন্নতি হয়েছে। সবেমাত্র দায়িত্ব পাওয়া এই নেতারাও দুর্নীতিতে যুক্ত বলে অভিযোগ করতে শুরু করেছে বিজেপি! নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘ওরা কয়েনের এ পিঠ আর ও পিঠ। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন চোর ধরে জেলে ভর্তি হবে। অথচ যাঁদের সরিয়ে নতুন করে যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁরা বিভিন্ন দুর্নীতিতে যুক্ত। সাধারণ মানুষ এর যথার্থ জবাব দেবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে।”বিজেপির এই অভিযোগকে আমল দিতে চায়নি নদিয়া জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব। বিজেপির যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের নদিয়ার মুখপাত্র বাণীকুমার রায়। পাল্টা বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন তিনি।ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুরের মতো বিভিন্ন জেলায় রদবদল নিয়ে অসন্তোষের ছবি ধরা পড়েছে। ভগবানগোলা, নওদা, ইসলামপুর, উত্তর দিনাজপুর, উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় রদবদল নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানিয়েছেন অনেক নেতা। কয়েক জায়গায় কর্মীদের একাংশ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভও করেছেন। তৃণমূলের নতুন ব্লক সভাপতিদের নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ্যে এসেছে একাধিক এলাকায়। যদিও সেই ছবি এখনও দেখা যায়নি নদিয়ার ক্ষেত্রে।নদিয়ার রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র আছে বিজেপির দখলে। ভোটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জেলার ১৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে তৃণমূল ৯টিতে এবং বিজেপি জিতেছে ৮টিতে। দুই দলেরই সংগঠন যথেষ্ঠ শক্তিশালী বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এবার দু’পক্ষের সামনে জেলার ১৮টি ব্লকের ১৮৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের চ্যালেঞ্জ। তা নিয়েই এখন থেকে চড়ছে নদিয়ার রাজনৈতিক উত্তাপ।