তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে মানুষের পাশে থাকার বার্তা,ও আগামী দিনেও একই লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নতুন গতি ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে সেই উপলক্ষে সকালে পরপর দু’টি ট্যুইটে রাজ্যবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দলের প্রতিষ্ঠাতা-সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ট্যুইটে তাঁর পোস্ট, তৃণমূল ২৩ বছর পূর্ণ করার মুহূর্তে ১৯৯৮ সালে ১ জানুয়ারি আমাদের পথচলার দিনের কথা মনে পড়ছে। অপরিসীম সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে কেটেছে এতগুলি বছর। কিন্তু, এই সময় ধরে আমরা মানুষের হয়ে সোচ্চার হওয়ার উদ্দেশ্যে ব্রতী থাকতে পেরেছি। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে আমি মা-মাটি-মানুষ ও তৃণমূলের সকল কর্মীদের আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই। তৃণমূল পরিবার আগামী দিনেও একই লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে।

    এদিন সকালে দলের প্রতিষ্ঠাদিবস পালিত হয় তৃণমূল ভবনেও। সেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সাংসদ মনীশ গুপ্ত। দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সি। ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, মনীশ গুপ্ত, এবং শান্তনু সেন। ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ ও পুবের কলম পত্রিকার সম্পাদক আহমদ হাসান, বিশ্বজি‍ৎ দেব, সুপর্ণ মিত্র, তুষার শীল, অলোক দাস, কৃষ্ণ প্রসাদ সিং, ওয়ায়েজুল হক, মুমতাজ সংঘমিত্রা প্রমুখ। দলের জন্মদিবসে দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বার্তা দিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিও। একইসঙ্গে দিলেন মোদিকে উচ্ছেদের বার্তাও। তিনি জানিয়েছেন, সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তবে এই নির্বাচনে জিতলেই যে দলের কাজ শেষ, এমনটা নয়। ২০২১ সালের নির্বাচন নিয়ে আমরা ভীতও নই। এটা আমাদের জন্য কঠিন নির্বাচন নয়, কিন্তু এই নির্বাচন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে বাংলার মানুষকে সংঘবদ্ধ করে সংবিধান বাঁচানো রক্ষার দায়িত্বে নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি রাজনৈতিক দল ভারতবর্ষের বুক থেকে সংবিধানকে ধ্বংসের যে প্ৰচেষ্টা চলছে, তার বিরুদ্ধেই লড়াই আমাদের।

    যতদিন এই সংবিধান ধ্বংসকারী শক্তিকে দেশ থেকে হাঁটানো যায় ততক্ষণ এই লড়াই চলবে। অনেকেই মনে করছেন নির্বাচনে জিতে গেলেই আমাদের কাজ শে নয়। বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই বিভাজনসৃষ্টিকারী এবং সংবিধান ধ্বংসকারী শক্তিকে না হাঁটানো পর্যন্ত এই লড়াই চলবে। তিনি বলেন, এই নির্বাচনের দিকে সারা দেশের মানুষ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। কারণ এবারের নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমেই ভারতের সংবিধান রক্ষা হবে। ২০২৪ সালে ভারতের সংবিধান ধ্বংসকারী শক্তিকে মসনদ থেকে বিতারিত করাই আমাদের লক্ষ্য।