এনআরজিএস এর টাকা মেম্বারের ছেলে ও সুপার ভাইজার এর মা ও বোনের একাউন্টে, অভিযোগ

এনআরজিএস এর টাকা মেম্বারের ছেলে ও সুপার ভাইজার এর মা ও বোনের একাউন্টে, অভিযোগ

    নিজস্ব প্রতিবেদক, নতুন গতি, হরিশ্চন্দ্রপুর: ফের ১০০ দিনের মাটি কাটার কাজে চরম দুর্নীতির অভিযোগ উঠল হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর জিপির শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্য দীপ্তি কর্মকার ও সুপার ভাইজার সারোয়ার আলমের বিরুদ্ধে। সোমবার পঞ্চায়েত প্রধান ও বিডিও অফিসে তাদের দূর্নীতির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন মহেন্দ্রপুর জিপির ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম ও মহম্মদ হাবিল।

    অভিযোগ, ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ করছে না এমন জবকার্ডধারীদের অ্যাকাউন্টেও টাকা চলে যাচ্ছে। এমনকি কি পঞ্চায়েত সদস্য দীপ্তি কর্মকার ও সুপার ভাইজার সারোয়ার আলম তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে টাকা তুলে স্বজনপোষনের অভিযোগ উঠছে।যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে পঞ্চায়েত সদস্য দীপ্তি কর্মকার ও সুপার ভাইজার সারোয়ার আলম।

    অভিযোগকারী রবিউল ইসলাম জানান ১০০ দিনের প্রকল্পে মাটি কাটার কাজে সব জব কার্ডধারীদের কাজ দেওয়া হয়নি। তবে মাস্টার রোলে দেখানো হয়েছে, অধিকাংশ জব কার্ডধারীরা কাজ করেছে। কাজ না করা শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই টাকার সামান্য কিছু অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের দিয়ে মুখ বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।দুর্নীতির কথা অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত সদস্য দীপ্তি কর্মকার ও সুপারভাইজার সরোয়ার আলম।

     

    তিনি আরো জানান দীপ্তি কর্মকারের ছেলে বেশ কয়েকমাস ধরে কলকাতায় রয়েছে অথচ তার একাউন্টে একশো দিনের মাটি কাটা কাজের টাকা ঢুকছে। সুপারভাইজারের বোন মেনকা খাতুনের বিয়ে হয়েছে বিহারে অথচ তার একাউন্টেও একশো দিনের মাটি কাটা কাজের টাকা ঢুকছে বলে অভিযোগ।

    আরো এক অভিযোগকারী মহম্মদ হাবিল জানান তার পূর্বনির্মিত পুকুর সম্পূর্ণ না কেটে পুকুর খননের বরাদ্দকৃত অর্থ তিন লক্ষ চব্বিশ হাজার টাকা তুলে নিয়েছে বলে অভিযোগ। দীপ্তি কর্মকার ও সারোয়ার আলম কে মাটি কাটানোর কথা বলতে গেলে তার পুকুর কেটে লস হয়ে গেছে বলে আর মাটি কাটাতে পারবে না সাফ জানিয়ে দেন।

    দীপ্তি কর্মকার ও সারোয়ার আলম জানান তাদের কে ফাঁসানোর একটা চক্রান্ত করছে অভিযোগকারীরা।তার কোনো ভুয়ো একাউন্টে টাকা তুলেনি বলে তাদের দাবি।

    ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে এর আগেও একবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল তাদের বিরুদ্ধে। দীপ্তি কর্মকারের বিরুদ্ধে বিডিও অফিসে লিখিত অভিযোগ করলে নিজের দূর্নীতি ঢাকার জন্য অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় মিথ্যা ধর্ষণ কেস দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে।

    বিডিও অনির্বাণ বসু গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন, তদন্তের পরেই আসল সত্য জানা যাবে বলে অপেক্ষা করছেন একশো দিনের প্রকল্পে কাজ করা শ্রমিকরা।