বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের আন্দোলনের অবশেষে হাল ফিরছে প্রাথমিক উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবন থাকলেও সেখানে থাকত না কোন স্টাফ। ঘটনাটি বীরভূম জেলার পাইকর থানার মিত্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন দাঁতুরা গ্রামের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের, দীর্ঘদিন বেহাল দশা হয়ে পড়েছিল। বিভিন্ন জায়গায় বহু অভিযোগ জানানোর পরেও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা থেকে শুরু করে যোগাযোগ ব্যবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র যাওয়ার রাস্তাটি ক্ষয় কার্যের ফলে পুকুরের জলে প্রায়ই মিশে গেছিল, অতীতে রাস্তা বাঁধানোর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র এলাকায় জমে থাকত জল, নোংরা আবর্জনা। এই রাস্তা দিয়ে গর্ভবতী মহিলাদের উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হতো, কোন উপায় ছিলনা। যে জায়গায় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে সেদিকে বহু বাড়িও রয়েছে তারাও ওই রাস্তা দিয়ে এক কোমর জলে নেমে যাতায়াত করত।

    দাঁতুরা গ্রামের সমাজ সচেতন বাদল শেখ, সেলিম শেখ, সনাতন মাল, শাহজাহানরা জানান এর আগে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ জানালেও কোন কাজ হয়নি ।আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের বিভিন্ন কার্যকলাপ সম্বন্ধে জ্ঞাত ছিলাম।বিভিন্ন সময়ে তাদেরকে মানুষের পাশে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখেছি। এনআরসি,ক্যা, আম্ফান প্রভৃতি বিষয়ে তাদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। আমাদের পাশের গ্রামের কয়েকজন যুবককে তারা মৃত্যুর হাত থেকে কাশ্মীর থেকে উদ্ধার করে এনেছিল। অনেক আশা নিয়ে তারপরে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের বীরভূম জেলা সম্পাদক মোঃ রিপন ও রকি মিয়াকে সমস্ত ব্যাপারটা খুলে বলি। পরে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের রাজ্য সভাপতি অধ্যাপক সামিরুল ইসলামকে তারা সমস্ত ব্যাপারটি জানান।সামিরুল ইসলাম গ্রামের স্বাস্থ্যকেন্দ্র ফেরানোর জন্য প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিক দেরকে জানান।অবশেষে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের আন্দোলনে ও অধ্যাপক সামিরুল ইসলামের প্রচেষ্টায় হাল ফিরছে প্রাথমিক উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের। প্রাথমিক সূত্রে জানা গেছে সোমবার হাসপাতাল চত্বরে উপস্থিত ছিলেন মুরারই -২ ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক নাজির হোসেন।তিনি জানান আমরা রাস্তার কাজ দ্রুত শেষ হলেই স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে এখানে স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগ করা হবে। খুশির হাওয়া গ্রামজুড়ে।