ফের ছাত্রের রহস্যমৃত্যু,হস্টেলের নীচে পাওয়া গেল রক্তাক্ত দেহ!

নিজস্ব সংবাদদাতা: ব্যবধান দিন সাতেকের। হস্টেলের নীচে পাওয়া গেল রক্তাক্ত দেহ। উপর থেকে ফেলে দিয়ে খুন? ফের ছাত্রের রহস্যমৃত্য়ু। মুর্শিদাবাদের পর এবার বর্ধমান।

     

    জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সৌমেন মুর্ম। বাড়ি, বর্ধমানেরই পাল্লা রোড এলাকার সাহাপুরে। বর্ধমান শহরের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল সৌমেন। আগে হস্টেল থেকেই পড়াশোনা করতেন তিনি। পরে হস্টেল ছেড়ে দেন তিনি। কীভাবে মৃত্যু? এদিন সকালে বর্ধমানে কলেজের হস্টেলে এসেছিলেন সৌমেন। কিছুক্ষণ পরে হস্টেলের নিচে তাঁর রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান আবাসিক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। শুধু তাই নয়, মুখে ও মাথা নাকি কাপড় জড়ানো ছিল! কেন হস্টেলে এসেছিলেন? মৃত্য়ুর কারণই বা কী? পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, হস্টেলের বারান্দা থেকে ঠেলে নিচে ফেলা দেওয়া হয়েছে সৌমেনকে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিস। শুরু হয়েছে তদন্ত। এর আগে, মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে ভাড়াবাড়িতে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছিল মেধাবী ছাত্রের। বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার হয়েছিল রক্তাক্ত দেহ। মৃতের নাম সইদ আফ্রিদি। জঙ্গিপুর বয়েজ স্কুলে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল আফ্রিদি। বাবা পেশায় রাজমিস্ত্রি। পড়াশোনার সুবিধার জন্য ছেলেকে শহরে পাঠিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে স্ত্রী ও মেয়েকেও। জঙ্গিপুরের গাড়ি-ঘাটার কাছে ভাড়াবাড়িতে মা ও দিদির সঙ্গে থাকত আফ্রিদি। মাত্র ৭ দিন আগে ওই বাড়িটি ভাড়া নেওয়া হয়।

     

    পরিবার সূত্রে খবর, রাতের খাওয়াদাওয়ার পর পড়াশোনা করবে বলে পাশের ঘরে চলে যায় আফ্রিদি। কিন্তু সকালে ঘরে ছিল সে! কোথায় গেল? খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করেন মা ও দিদি। এরপর ছাদের ওই স্কুল পড়ুয়ার রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনাটি জানাজানি হতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। বাড়িতে ভিড় করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে বিশাল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন জঙ্গিপুরের এসডিপিও ও জঙ্গিপুর থানা আইসি। স্রেফ নমুনা সংগ্রহ নয়, ঘটনাস্থলের ভিডিওগ্রাফি করেন তদন্তকারীরা। তোলা হয় স্টিল ফটোও।

    এদিকে মাস চারেক আগে ভরসন্ধেয় নৃশংসভাবে খুন হন এক কলেজছাত্রী। শহরের ক্যাতায়নী এলাকায় একটি মেসে থাকতেন তিনি। অভিযোগ, ঘটনার দিন ওই কলেজ পড়ুয়াকে মেসের বাইকে ডেকে আনে তাঁর প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরী। তারপর প্রথমে গুলি, তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপ মেরে খুন! রাতেই মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। ইতিমধ্যেই চার্জশিটও জমা পড়েছে আদালতে।