|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক : রাতে আমনের খেতে জল দিতে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর আর বাড়ি ফেরেননি। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের তালগাছি এলাকায় ওই চাষির নিখোঁজকে ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে। স্যালো পাম্পসেটের অদূরে রক্তের দাগ পড়ে থাকায় রহস্য আরও দানা বেধেছে। সকাল থেকে বাসিন্দাদের পাশাপাশি পুলিশ এলাকায় গিয়ে তন্নতন্ন করে খুঁজলেও ওই চাষির হদিশ মেলেনি। এদিকে সোমবার সকালে নিখোঁজ চাষির এক ছেলে বাড়ি থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন। ফলে পারিবারিক কোনও বিবাদে ঘটনাটি ঘটেছে কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আনিসুর রহমান রবিবার রাত ১০টায় ধানের খেতে জল দিতে বাড়ি থেকে বের হন। ঘন্টা দুয়েক বাদে ফেরার কথা থাকলেও সকাল পর্য়ন্ত তিনি বাড়ি না ফেরায় শুর হয় খোঁজ। পাম্পসেটের কাছে গিয়ে বাসিন্দারা দেখেন যে ছোপ ছোপ রক্ত পড়ে রয়েছে। এছাড়া ধানের খেতের একটি জায়গায় ধ্বাস্তাধ্বস্তির চিহ্নও রয়েছে। আর তাতেই ওই চাষিকে খুন করে দেহ লোপাট করা হয়েছে কি না সেই সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে খবর. বছর পঞ্চান্নের আনিসুরের বড় ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। সে নিখোঁজ। বাকি তিন ছেলে ভিন্ রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। মেজো ছেলে হায়াত আলাদা থাকেন। আনিসুর ছোট ছেলে বাবলুর সংসারেই থাকেন। আনিসুর বাবলুকে বেশি সম্পত্তি দিয়ে দিচ্ছেন বলে মাস দুয়েক আগে হায়াতের সঙ্গে বাবলুর চরম বিবাদ, মারপিট হয়। হায়াত গ্রেফতারও হয়। জামিন পেয়ে ওড়িশায় গেলেও চারদিন আগে হায়াত বাড়ি ফিরে আসেন। এদিন সকালেই ফের বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দেন তিনি।
বাবলুর স্ত্রী নাসেরা বিবি বলেন, ভাসুরের সঙ্গে জমি নিয়ে স্বামীর গন্ডগোল ছিল। কি হয়েছে পুলিশই খুঁজে বের করুক। হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, আনিসুরের খোঁজ চলছে। পাশাপাশি ঘটনার পিছনে কি কারণ রয়েছে সবকিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রিজিয়া খাতুন বলেন,”সকালে ঘটনাটি জানতে পারি। জমিতে গিয়ে দেখি যে প্রদীপ নিয়ে গেছিল সেই প্রদীপটি পড়ে আছে। জায়গাটাতে যে ধস্তাধস্তি হয়েছিল সেটাও বোঝা যাচ্ছে। পুলিশকে সমগ্র ঘটনাটি জানিয়েছি। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।”
নিখোঁজ চাষির ভাই বেলাল হোসেন বলেন,”গতকাল জমিতে জল দিতে গেছিলো। তারপর আর ফেরেনি। সকাল থেকে ওর বড় ছেলেও গা ঢাকা দিয়েছে। ভাইয়ের দুই ছেলের মধ্যে জমি নিয়ে একটা বিবাদ হয়েছিল। সেই বিবাদের জেরে কিছু হল কিনা এখনো সঠিক ভাবে বোঝা যাচ্ছে না। তবে জমিতে রক্তের দাগ এবং ধস্তাধস্তির চিহ্ন পাওয়া গেছে।আমরা খোঁজ চালাচ্ছি।”