মাতৃ দিবসে গণ বিবাহের আয়োজন করে উত্তরবঙ্গ বনবাসী কল্যান আশ্রম কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক:- আয়োজনের কোনও খামতি ছিল না। ছাদনাতলা থেকে মাদল। সবেরই ব্যবস্থা ছিল। এক ছাতার তলায় বিবাহ সম্পন্ন হল ১০৮ জোড়া দম্পতির। আজ মাতৃ দিবসে গণ বিবাহের আয়োজন করে উত্তরবঙ্গ বনবাসী কল্যান আশ্রম কমিটি। উত্তরবঙ্গের বনবস্তিবাসীদের বিবাহ অনুষ্ঠান।আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকার কারণে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারছিল না ওঁরা। অথচ নিজেদের মতো করে অনেকেই সংসার চালিয়ে আসছিলেন। এমনই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার চা শ্রমিক এবং বনবস্তিবাসীরা আজ বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে। রীতিমতো আচার, বিধি মেনেই সম্পন্ন হল বিয়ে।আদিবাসী সম্প্রদায়ের ১০৮ জোড়া দম্পতি একসঙ্গে বসলেন ছাদনাতলায়। পুরোহিতের মন্ত্রোচারণের মধ্যে দিয়ে মিলিত হল চার হাত। বিয়ে সম্পন্ন করতে ছিলেন ২৮ জন পুরোহিত। শিলিগুড়ি ও সুকনার মাঝে শালবাড়ি বিরসা শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে বিয়ের আসর বসেছিল। ছিল আদিবাসীদের নিজস্বআয়োজক কমিটির সম্পাদক বিজয় আগরওয়াল জানান, “মূলত আর্থিক কারণে বিবাহ থেকে বঞ্চিত আদিবাসী পুরুষ ও মহিলাদের জন্যেই এর আয়োজন। আদিবাসীদের নিয়ম মেনেই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৯ সাল থেকে এর আয়োজন হয়ে আসছে। মাঝে ২ বছর কোভিডের জেরে করা যায়নি।”নব দম্পতিদের হাতে বিয়ের সার্টিফিকেটও তুলে দেওয়া হয়। বিয়ের সবরকম আয়োজনের খরচও বহন করে উদ্যোক্তারাই। কনের নতুন শাড়ি থেকে সাজগোজের সরঞ্জাম, বরের ধুতি, গেঞ্জি, গামছা বোঝাই ট্রাঙ্ক তুলে দেওয়া হয় নবদম্পতিদের হাতে। সেখানে বিছানার চাদর, মশারি সবই ছিল। দম্পতি বিয়েতে আমন্ত্রিত হন নব দম্পতিদের পরিবারের লোকেরা। বিয়ের পর্ব মিটতেই আয়োজন করা হয় খাবারেরও। ছিল রকমারি খাবারের মেনু। এমন আয়োজনে খুশী বর-কনেরাও। জাঁকজমকভাবেই বিয়ের আয়োজন করে আয়োজকেরা। উত্তরের ডুয়ার্স, তরাইয়ের আদিবাসীরা এসেছিলেন এই গণ বিবাহের অনুষ্ঠানে।