বাড়ি ও দোকান স্যানিটাইজ করতে নেমে পড়েন রাজ্য যুব তৃণমূল সম্পাদক বিশ্বজিৎ মণ্ডল

নিজস্ব সংবাদদাতা, নতুন গতি, মালদা: জেলা জুড়ে হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। জেলা সদর ইংরেজবাজারেও পাড়ায় পাড়ায় করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। করোনা-আতঙ্কে থরথর করে কাঁপছেন অনেকেই। কিন্তু সব আশঙ্কাকে তুচ্ছ করে রাজ্য যুব তৃণমূল সম্পাদক বিশ্বজিৎ মণ্ডল ঝাঁপিয়ে পড়েছেন করোনা-বিরোধী যুদ্ধে। প্রাণের ঝুঁকি নিয়েও বিশ্বজিৎবাবু তাঁর সঙ্গীসাথীদের নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন করোনা আক্রান্তদের পাড়ায়। বুধবারও তার ব্যতিক্রম হল না। দক্ষিণ কৃষ্ণপল্লী এলাকায় এক করোনা আক্রান্ত রোগীর বাসস্থানের কাছাকাছি এলাকা জীবাণুমুক্ত করতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন এই ডাকাবুকো যুব তৃণমূল নেতা। এলাকার বিভিন্ন রাস্তা, বাড়ি ও দোকান স্যানিটাইজ করতে নেমে পড়েন এই অকুতোভয় যুব তৃণমূল নেতা। তাঁর এই প্রশংসনীয় উদ্যোগ দেখে এগিয়ে আসেন স্থানীয় ঋষি অরবিন্দ সংঘেরর সদস্যরাও। হাতে হাতে মিলিয়ে দক্ষিণ কৃষ্ণপল্লী এলাকার বিভিন্ন স্থান নিজের খরচে, নিজের প্রচেষ্টায় জীবাণুমুক্ত করেন বিশ্বজিৎ মণ্ডল। তাঁর এই উদ্যোগ সাড়া ফেলেছে বিভিন্ন এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে সামাজিক স্বাস্থ্য রক্ষার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার ক্ষেত্রে কোনো প্রশংসাই যথেষ্ট না। বিশ্বজিৎবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের জীবন তুচ্ছ করে বারবার মানুষের স্বার্থে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। তাঁর ভাইপো তথা সর্ব ভারতীয় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের অধ্যক্ষ ও সংসদ সদস্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও করোনা মহামারীর শুরুর দিন থেকেই নিজের জীবন বিপন্ন করেও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই আমি মালদহবাসীর পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি সীমিত সামর্থ্য নিয়েই। আমার বাবা প্রাক্তন বিধায়ক রামপ্রবেশ মণ্ডল আমাকে শিখিয়েছেন, কীভাবে মানুষের দুঃসময়ে তাঁদের পাশে থাকতে হয়। আমি তাঁর আদর্শেও দীক্ষিত। তাই যতদিন পারি এই কাজ চালিয়ে যাব।