|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা: সবুজ পাতায় ভরা একটা বিশাল গাছ উপড়ে পড়ে আছে। জোরে হাওয়া দিচ্ছে। চারদিকে সব তছনছ। পাকা বাড়ির মাথার ওপর থেকে উড়ে গিয়েছে অ্যাসবেসটসের চাল। আর কাঁচা বাড়ির তো কথাই নেই! একেবারে ধূলিসাৎ।
শুধুই ধ্বংসস্তূপ: তিলে তিলে সাজানো কষ্টের সংসার এখন শুধুই ধ্বংসস্তূপ। বৃষ্টির মরশুমে মাথার ওপর থেকে আচ্ছাদন সরে যাওয়ায় অথৈ জলে বহু পরিবার। উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Pargana) জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ২০ সেকেন্ডের টর্নেডোয় লন্ডভন্ড উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) সন্দেশখালির সরবেড়িয়া আগারাটি গ্রামপঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা।স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুর ১টা ৫-১০ নাগাদ শুরু হয় দুর্যোগ। সামান্য সময়ের ঝড়েই সব ওলটপালট। সরবেড়িয়া আগারাটি গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান শেখ শাহজাহান বলছেন, ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ডের মধ্যে তছনছ কয়েকশো বাড়ি। টোটাল বাসস্থান বলে আর কিছু নেই। মাটির বাড়ি, অ্যাসবেস্টর্সের বাড়ি বলে আরক কিছু নেই। বিডিওকে জানিয়েছি। থাকার ব্যবস্থা করেছি। বাসস্থানের ব্যবস্থা না করলে সমস্যা।
ট্রলারডুবির ঘটনা: বাড়ি ভাঙার পাশাপাশি উপড়ে পড়েছে বড় বড় গাছ।নিম্নচাপের মধ্যে মাথার ওপর থেকে ছাদ হারানো পরিবারগুলিকে অন্যত্র সরানোর কাজ চলছে। অন্যদিকে, ট্রলারডুবির ঘটনায় আশঙ্কার মেঘ আর আকাশের মেঘ একাকার হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে। নিখোঁজ মৎস্যজীবীর আত্মীয় কাকলি দাসের কথায়, শুনছি ট্রলার উল্টে গিয়েছে, পাল্টি খেয়েছে। কাউকে এখনও উদ্ধার করা যায়নি। কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার কাকদ্বীপ মৎস্যবন্দর থেকে বঙ্গোপসাগরের গভীরে মাছ ধরতে গিয়েছিল FB সত্যনারায়ণ নামের একটি ট্রলার।
নিম্নচাপের প্রভাবে খারাপ আবহাওয়ার সতর্ক বার্তা পেয়ে তা ফিরছিল। ফেরার পথে কেঁদো দ্বীপের কাছে ডোবা চরে ধাক্কা খেয়ে ট্রলারটি উল্টে যায়। ট্রলারে থাকা ১৮ জন মৎস্যজীবী এখনও নিখোঁজ। তাঁদের সন্ধান পেতে উপকূলরক্ষী বাহিনীর সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি, , খারাপ আবহাওয়ার সতর্কতা পেয়ে ইতিমধ্যেই বহু ট্রলার সাগর থেকে ফিরে এসেছে।
আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা: পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা জানিয়েছেন, মৎস্যজীবীদের আগেও বলা হয়েছিল। আবার বলা হচ্ছে, ২০ তারিখ পর্যন্ত কেউ মাছ ধরতে যাবেন না। এদিন সাগর ব্লকের ধবলাট , বোটখালি ও শিবপুরে নদীবাঁধ পরিদর্শন করেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা।