|
---|
নতূন গতি প্রতিবেদক, মালদা: ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল দেখা গেল প্রকাশ্যে। মালদহের চাঁচল ১ নং ব্লকে বার গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ছবি ফুটে আসছে আমাদের ক্যামেরায়। সপ্তাহ খানেক আগে চাঁচল ব্লক টিএমসিপির গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা চাঁচল সদর। ফের বুধবার একই ছবি দেখা গেল চাঁচলে। তবে গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়টি মানতে নারাজ চাঁচল ১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি সচীদানন্দ চক্রবর্তী।
বুধবার খরবা গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের মেম্বারকে দল থেকে বহিস্কার করতে ব্লক সভাপতির বাড়ীতে অনশনে বসেন ওই অঞ্চলের তৃণমূল বাঁচাও কমিটির সংগঠন।
দীর্ঘ তিনঘন্টা ধরে অনশনে বসে থাকেন তারা। তাদের দাবী, পঞ্চায়েতে নানা প্রকল্পে দূর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে সদ্য কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে আসা শ্রীপতিপুর সংসদের মেম্বার মহবুল হকের।
এছাড়াও অনশন কারী বাঁচাও কমিটির অচিন্ত ঘোষের অভিযোগ, মন থেকে নয় ধনের জন্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন ওই ব্যক্তি। এবং এইরকম দূর্নীতিগ্রস্ত সমর্থক থাকলে দলে ক্ষতি হবে আশঙ্কা তাদের।
আসছে বিধানসভা,তাই অবিলম্বে মহবুল হক কে বহিস্কারের দাবী জানিয়ে অনশনে বসেন ওই সংগঠন।
পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, মহবুল হক খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের জাতীয় কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান ছিলেন। কংগ্রেস থেকে নির্বাচিত হয়ে মেম্বার পদে রয়েছেন। এবং তৃণমূল যোগ দিয়েছেন।
মহবুল হকের দাবী, মমতা ব্যানার্জীর আদর্শে তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। প্রধান, উপপ্রধানের হাত ধরেই এই যোগদান। তবে একদল যুবক সেটা মানতে চাননা। এবং ওরা তৃণমূল সমর্থক রয়েছে কিনা সন্দেহ থাকছে। প্রধান থাকাকালীন এলাকার অনেক কাজ করেছি বলে দাবী মহবুল হকের।
ওরা তৃণমূলের কেউ নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পারভিনা খাতূন।
দীর্ঘ তিনঘন্টা ধরে অনশন করা পর জেলা নেত্রী মৌসম নূরের ফোন আশ্বস্ত হয়ে বাঁচাও কমিটি অনশন তূলে নেন। চাঁচল ১ নং ব্লক তৃণমূল কমিটির সভাপতি সচীনানন্দ চক্রবর্তী জানান, ব্লক নেতৃত্বের তরফে উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করা হবে। বহিস্কার বিষয়টি জেলা নেতৃত্বের সাথেও আলোচনা করা হবে।
তবে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে বৃহস্পতিবার থেকে চাঁচলে শুরু হয়েছে সাতদিনের আংশিক লকডাউন। আর এই লকডাউনের মধ্যেও জটলা বেধে তৃণমূলের অনশনকে তীব্র ধিক্কার জানিয়েছেন বিরোধীরা। বিজেপি জেলা কমিটির সম্পাদক দীপঙ্কর রাম বলেন, তৃণমূলের সবাই দূর্নীতি করে। তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত গূলি দূর্নীতিতে আসক্ত। এর ফলে এদের গোস্ঠী দ্বন্দ লেগেই থাকে। তবে আংশিক লকডাউনে জটলা বেধে ও সামাজিক দূরত্ব মানছেন না তারা। সেটা প্রশাসন ব্যবস্থা নিক।