ক্লাব সহ এলাকাবাসীদের দাবি মেনে পুনরায় সংস্কার হলো যাত্রী প্রতীক্ষালয়

নিজস্ব সংবাদদাতা: দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল অবস্থায় পড়েছিল গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার উপর যাত্রী প্রতীক্ষালয়। যাত্রীদের সুবিধার্থে তাই বিধায়ক তহবিলের টাকায় পুনরায় নতুন করে তৈরি করে দেওয়া হল যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি। আমডাঙ্গা বিধানসভার কাশিমপুর অঞ্চলের দীঘার মোড়ে দীর্ঘ দিন ধরে কঙ্কালসার অবস্থায় পরে ছিলো যাত্রী প্রতীক্ষালয়। এই রাস্তায় যাত্রীদের ওঠা নামার ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরেই সমস্যা হচ্ছিল। যাত্রী ওঠা নামার ক্ষেত্রে কয়েকবার দুর্ঘটনাও ঘটে এই রাস্তায়। তাই স্থানীয় ক্লাব সহ এলাকাবাসীদের দাবি ছিল যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি পুনরায় সংস্কার করে দেওয়ার। যাতে নির্দিষ্ট স্থানেই যাতায়াতের বাস দাঁড়াতে পারে। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও অনেকাংশে কম হয়।একেই জাতীয় সড়ক সংলগ্ন রাস্তা। এই রাস্তা ব্যবহার করেই পৌঁছে যাওয়া যায় বারাসাত ব্লক ওয়ান। ফলে দীঘার মোড়ে এলাকায় নিত্যযাত্রীসহ যানবাহন ব্যবহারকারী মানুষের ভিড় সব সময় লেগেই থাকে। রোদ, বৃষ্টিতে দাঁড়াতে পারতেন না যাত্রীরা। দীর্ঘদিনের মানুষের এই দাবি নিয়ে, স্থানীয় দীঘা বিদ্যুৎ সংঘ ক্লাব কাশিমপুর পঞ্চায়েত ও পরবর্তীতে আমডাঙ্গা বিধানসভার বিধায়ক রফিকুর রহমানের কাছে আবেদন করেন।এরপরেই বিধায়ক তহবিল থেকে এক লক্ষ ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয় যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরী করার জন্য। তিন মাসের মধ্যেই যাত্রীদের সুবিধার্থে তৈরী করে দেওয়া হয় প্রতীক্ষালয়টি। নতুন এই যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি এদিন ফিতে কেটে উদ্বোধন করলেন বিধায়ক রফিকুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন কাশিমপুর পঞ্চায়েত প্রধান মহঃ ইছা সহ প্রশাসনের অনান্য আধিকারিকরা।

    নতুন এই যাত্রী প্রতীক্ষালয় পেয়ে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। ঝড়, জল, বৃষ্টিতে যেমন কষ্ট পেতে হবে না, তেমনি যাত্রীবাহী গাড়ি ধরার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়োর প্রয়োজন পড়বে না। ফলে দুর্ঘটনাও এড়ানো সম্ভব হবে বলেই মনে করেন স্থানীয় নিত্য যাত্রীরা। এদিন মানুষের দাবি মত কথা রাখার জন্য স্থানীয় ক্লাবের পক্ষ থেকে বিধায়ককেও সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পাশাপাশি পরবর্তী সময়ে গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় আলোকিতকরণ সহ পথনির্দেশিকার বোর্ড তৈরীর আবেদনও জানানো হয় বিধায়ক কে।