বেলদায় প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা জানানো হলো কবিগুরুকে

নিজস্ব সংবাদদাতা, বেলদা, পশ্চিম মেদিনীপুর: রবিবার বাইশে শ্রাবণের সকালে বেলদার গীতাঞ্জলি পল্লীর রবীন্দ্রমূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠান আয়োজন করে বেলদা রবীন্দ্রমূর্তি স্থাপন কমিটি। ২০১২ সালের এই দিনে বেলদার কেশিয়াড়ি মোড়ে জেলাপরিষদ মার্কেট কমপ্লেক্সের সামনে প্রথম বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূর্ণাবয়ব মূর্তি স্থাপিত হয়েছিল।২০১৪ সালে এই এলাকার নাম রাখাহয় গীতাঞ্জলি পল্লী। এদিন সকালে রবীন্দ্রমূর্তিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পাশাপাশি রবীন্দ্রমূর্তি স্থাপনের দশম বর্ষ উদযাপন করা হয়। এদিন রবীন্দ্রমূর্তি স্থাপন কমিটির পক্ষ থেকে গীতাঞ্জলি পল্লীর প্রবীণ শিক্ষক তথা রবীন্দ্রমূর্তি স্থাপন কমিটির মূখ্য উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রিয়ব্রত মিশ্র এবং এলাকার বিধায়ক সূর্যকান্ত অট্টকে বিশেষ সম্মাননাজ্ঞাপন করা হয়।

    করোনা বিধি মেনে অনাড়ম্বর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লোককবি পরেশ বেরা, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ডেপুটি রেজিষ্ট্রার ড. গণেশচন্দ্র রানা,বেলদা প্রভাতী বালিকা বিদ্যাপীঠের প্রধানশিক্ষিকা ও লেখিকা ড. লক্ষ্মী দাস অট্ট, নারায়ণগড় পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ অনাদি বারিক, বেলদা রবীন্দ্রমূর্তি স্থাপন কমিটির সভাপতি ডা. যোগেন্দ্রনাথ বেরা প্রমূখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রবীন্দ্রমূর্তি স্থাপন কমিটির সম্পাদক অখিলবন্ধু মহাপাত্র ও বেলদা মূর্তি সংরক্ষণ কমিটির সম্পাদক বাঙ্ময় মিশ্র। রবীন্দ্রমূর্তি স্থাপন কমিটির সম্পাদক অখিলবন্ধু মহাপাত্র বলেন, ২০১২ সালের ৭ আগষ্ট ছিল ১৪১৯ বঙ্গাব্দের ২২ শ্রাবণ। রবীন্দ্রমূর্তি স্থাপন কমিটি গড়ে বেলদায় প্রথম পূর্ণাবয়ব রবীন্দ্রমূর্তি স্থাপন করা হয়। সেই সময় নিজের হাতে মাটি খুঁড়ে মূর্তি স্থাপনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন সূর্যকান্ত অট্ট। এখন তিনি রাজ্য বিধানসভার সদস্য তথা বিধায়ক। তাছাড়া এই মূর্তি স্থাপনে প্রথম থেকে সর্বোতভাবেই সহযোগিতা করে আসছেন বর্ষীয়ান নাগরিক প্রিয়ব্রত মিশ্র। তাই মৃর্তি স্থাপনের দশম বর্ষে এই দুই ব্যক্তিত্বকে সংবর্ধিত করা হল।সভাপতি ডা. যোগেন্দ্রনাথ বেরা বলেন রবীন্দ্র মূর্তি স্থাপন হয়েছিল বলেই, ২০১২ সালে মূর্তি সংরক্ষণ কমিটি ও গড়ে উঠেছিল। রবিবারের আয়োজনে বিশেষ সহযোগিতা ছিল বেলদা মূর্তি সংরক্ষণ কমিটি।

    এদিনের সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক সূর্যকান্ত অট্ট বলেন, রবীন্দ্রনাথের এই প্রয়াণ দিবস আসলে বাংলা ও বাঙালির কাছে আসলে শূন্যতা দিবস। বাঙালির সবকিছুতেই রবীন্দ্রনাথ বিরাজমান।
    রবিবারের সংক্ষিপ্ত ও অনাড়ম্বর আয়োজনে কবিতা আবৃত্তি এবং সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। ডা. লক্ষ্মী দাস অট্ট বলেন,এই এলাকায় যতগুলি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল রয়েছে সবগুলিতে দিনটি পালনীয় দিন হিসেবে বাধ্যতামূলক করা উচিৎ।