ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াকে খুনের ঘটনায় ধৃত তাঁর বন্ধুকে পুনর্নির্মাণ করাতে দুবরাজপুরে নিয়ে আসে পুলিশ

সেখ রিয়াজুদ্দিন,বীরভূম:- বীরভূমের ইলামবাজার চৌপাহড়ী জঙ্গলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াকে অপহরণ করে খুনে অভিযুক্ত তারই বন্ধু সেখ সালমন পুলিশ হেফাজতে।মুক্তিপন চেয়ে বন্ধুকে খুনের মূল অভিযুক্ত সেখ সালমানকে তদন্তের স্বার্থে মঙ্গলবার নিয়ে আসা হয় দুবরাজপুরে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ডিএসপি ক্রাইম ফিরোজ হোসেন, দুবরাজপুর থানার ওসি আফরোজ হোসেন এবং ইলামবাজার থানার ওসি তন্ময় ঘোষ।

    উল্লেখ্য গত শনিবার মধ্যরাত্রে বীরভূমের ইলামবাজার থানার চৌপাহারি জঙ্গলে অপহরণ করার পর মুক্তিপণ আদায়ে ব্যার্থ হওয়ায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার নলী কেটে খুন করা হয় আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র সৈয়দ সালাউদ্দিনকে।বন্ধু হিসেবে পরিচিত দুজনের ই বাড়ি খয়রাসোল থানার আহমদপুর গ্রামে।বীরভূম জেলা পুলিশ তদন্ত নেমে গ্রেফতার করে সৈয়দ সালাউদ্দিনের বন্ধু সেখ সালমানকে।পুলিশের চোখে ধোঁকা দিতে যদিও সে নিজের শরীরে নিজেই ক্ষতবিক্ষত করে কিন্তু পুলিশের জেরায় সে ভেঙে পড়ে এবং কুকর্মের কথা স্বীকার করে বলে জানা যায়। যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সৈয়দ সালাউদ্দিনের গলার নলী কেটে খুন করা হয়েছে, সেই অস্ত্র কেনা হয়েছিল দুবরাজপুরের একটি গ্রীল দোকানে। পাশাপাশি সালমান নিজের মোবাইল ফোনটি দুবরাজপুরের একটি মোবাইল দোকানে সারাতে দিয়েছিল।

    উক্ত দোকানগুলোতে ধৃতকে নিয়ে গিয়ে পুনঃনির্মাণ করানো হয় ইলামবাজার ও দুবরাজপুর থানা পুলিশের উপস্থিতিতে।সেইসাথে জঙ্গলে উদ্ধার হওয়া স্কুটি কোথায় কেনা হয়েছিল সেই শোরুমেও অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে গতকাল কলেজ পড়ুয়া খুনে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন মৃত সৈয়দ সালাউদ্দিনের কাকা সৈয়দ আব্দুল মঈন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তার ভাইপোর খুনের মামলায় সুপারি কিলার যোগ রয়েছে। কারণ শনিবার দুপুর দিকে সালমান তার স্কুটিতে করে দুজনকে চাপিয়ে নিয়ে যাই মুখ বাঁধা অবস্থায়। খুনের তদন্তে সেই বিষয়গুলিও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ধৃতকে সশরীরে নিয়ে গিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া চালানো হয় বীরভূম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে।