বিশিষ্ট মুসলিম চিকিৎসাবিদ ইবনে সিনহার আবিষ্কার “কোয়ারেন্টাইন” শব্দ টি

ভারত সহ সমস্ত বিশ্বজুড়ে করোনা নামক মহামারীর সময় কোয়ারেন্টাইন শব্দটা কমবেশি সকলেই সোনা আছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পার্সিয়ান মুসলিম চিকিৎসক , গণিতজ্ঞ , জোতির্বিজ্ঞানী ও দার্শনিক পন্ডিত ইবনে সিনা সন্দেহ করেছিলেন যে কিছু রোগ অণুজীব(যেমন ভাইরাস , ব্যাক্টেরিয়া) দ্বারা ছড়িয়ে পড়ে একজন থেকে অন্যজনের মধ্যে। তাই মানুষের থেকে মানুষের এরপর প্রসার বা বিস্তার রোধ করতে তিনি ৪০ দিনের জন্য মানুষকে বিচ্ছিন্ন করার একটি পদ্ধতি বের করেন এবং প্রত্যাশিত সফলতা অর্জন করেন। তিনি এই পদ্ধতিটিকে আল- “আরবা ইনিয়া” নাম দিয়েছিলেন। ইতালি ভাষায় কোয়ার্টেনা অর্থ চল্লিশ।
উল্লেখ্য ইবনে সিনার পুরো নাম-আবু আলী আল-হুসেন ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে সিনা, পশ্চিমে তিনি ল্যাটিন সংস্করণ নামে পরিচিত ছিলেন।

    তাঁর এই সফল পদ্ধতিটি শুনে ভেনিসের ব্যবসায়ীরা জ্ঞানটিকে সমসাময়িক ইতালিতে প্রয়োগ করেন এবং তারাও সফল হন। তারা একে “কোয়ার্টেনা” (ইতালীয় ভাষায় “চল্লিশ”) নাম রেখেছিলেন। “কোয়ারেন্টাইন” শব্দটি এখান থেকেই এসেছে। মহামারী বিরোধী লড়াইয়ের জন্য বিশ্বের বেশিরভাগ দেশিই এই পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করছে। আনন্দের বিষয় এই শুভ পদ্ধতিটির উৎস হচ্ছে ইসলামিক বিশেষজ্ঞদের জ্ঞান।আজও ইবনে সিনার পদ্ধতি হয়তো লক্ষ, লক্ষ মানুষের জীবন রক্ষা করেছে বা করবে।।

    উল্লেখ্য যে ইবন সিনা এটা আবিষ্কারের বহু আগেই নবী করিম সাঃ প্লেগ আক্রান্ত নগরীতে ঢুকতে এবং আক্রান্ত হওয়া জায়গা হতে বের হতে নিষেধ করেছিলেন ।

    নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমরা কোন্ অঞ্চলে প্লেগের বিস্তারের সংবাদ শোন, তখন সেই এলাকায় প্রবেশ করো না। আর তোমরা যেখানে অবস্থান কর, সেখানে প্লেগের বিস্তার ঘটলে সেখান থেকে বেরিয়ে যেয়ো না। বর্ণনাকারী হাবীব ইবনু আবূ সাবিত।