মিষ্টির দামও উর্ধ্বমুখী, কিন্তূ চাহিদা তুঙ্গে, মিষ্টি ছাড়া জামাই ষষ্ঠী বেমানান

নিজস্ব সংবাদদাতা :আজ জামাইষষ্ঠী। জামাইষষ্ঠীতে মিষ্টি অপরিহার্য। জামাইকে অন্ততপক্ষে পাঁচ রকম মিষ্টি না দিতে পারলে জামাইষষ্ঠী পালন ষোল আনাই বৃথা। তবে মাছ সবজি সহ বিভিন্ন জিনিসের মত মিষ্টির দাম আকাশ ছোয়া। কপালে ভাজ মধ্যবিত্তর। এক সময় বিকেলের টিফিন একটা সিঙ্গারা সাথে একটা রসগোল্লা। মধ্যবিত্ত বাঙালির অল্প পয়সাতেই রচনা কীর্তি হয়ে যেত। আর এখন মিষ্টি সিঙ্গারা দুটোই নাগালের বাইরে। সিঙ্গারার দাম কম করে সাত টাকা, আর রসগোল্লার দাম পিস প্রতি ১০ টাকা। তাই দশ টাকা দিয়ে আর মধ্যবিত্ত বাঙালির সিঙ্গারা মিষ্টি খাওয়া অতীত ছাড়া কিছুই নয়। পেট ভরে মিষ্টি খাওয়া দাও যেন ব্যয়বহুল্য হয়ে পড়েছে

    আজ জামাইষষ্ঠীর বাজারে আগুন। বাদ নেই মিষ্টির দোকানেও। প্রতিবছরের বাড়ছে মিষ্টির দাম, ভালো মিষ্টি খেতে হলে অন্ততপক্ষে ১৫ টাকা খরচ করতে হবে। মাঝারি মানের মিষ্টির ক্ষেত্রে দশ টাকা। তাই ইচ্ছা থাকলেও শাশুড়িদের উপায় নেই, পাঁচ রকমের বদলে দু তিন রকম মিষ্টি দিয়েই জামাইয়ের মন রক্ষা করার চেষ্টা করছেন তারা। তবে জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে এদিন বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে উপচে পড়া ভিড় ছিল। রসগোল্লা ,সন্দেশ, ছানার জেলাপি, সহ আরো অন্যান্য মিষ্টি কেনার জন্য ক্রেতাদের ছিল লম্বা লাইন। মিষ্টির দাম যতই বর্ধিত হোক, মিষ্টি ছাড়া জামাই ষষ্ঠী বেমানান।