মৃৎশিল্পীরা দামি রঙ ব্যবহার করার কারণে প্রতিমার দামও বৃদ্ধি পেয়েছে তবুও কোনও খামতি রাখছে না মৃৎশিল্পীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা : সামনেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। শরতের পেজা তুলোর মত মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে আকাশে। নদীর ধারে কাশফুল এবং শিউলির গন্ধে মেতে উঠেছে শরৎকাল। গত দুবছর করোনা মহামারীর কারণে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে দুর্গাপূজা পালন করতে পারেনি পূজা কমিটি গুলি। তবে এবারের চিত্রটা অন্যরকম, দু’বছর পর আবারও পুরনো ছন্দে ফিরে এসেছে মানুষের জীবন যাত্রা। সেই কারণেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো পালনে এবারে কোনও খামতি দেখা যাচ্ছে না কোথাও।হাতে কয়েক দিন বাকি বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজার। ইতিমধ্যেই চরম ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যাচ্ছে জেলার সমস্ত মৃৎশিল্পীদের মধ্যে। ঠাকুর তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাওয়া গেলেও উন্নত মানের ঠাকুরের রঙের দাম যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানালেন জেলার একাধিক মৃৎশিল্পীরা। তারা জানান রঙের দাম কেজি প্রতি ২০০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। কম দামি রঙ ব্যবহার করলে ঠাকুরের গায়ের বর্ণ ফুটবে না। ফলে সেই ঠাকুর গ্রাহকেরা নিতে চাইবেন না।তবে সমস্যা হচ্ছে মৃৎশিল্পীরা দামি রঙ ব্যবহার করার কারণে প্রতিমার দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু বাড়তি দাম অনেক সময় দেখা যাচ্ছে গ্রাহকেরা দিতে চাইছেন না। ফলে কিছু ক্ষেত্রে গ্রাহকদের সাথে মৃৎশিল্পীদের বচসা বেধে যাচ্ছে বলে জানান তারা। তবুও জেলার মৃৎশিল্পীরা প্রতিমা বানাতে কোনও খামতি রাখছে না বলে জানালেন। রং এর দাম বৃদ্ধি পেলেও বাধ্য হয়ে সেই রঙ দিয়েই প্রতিমার রঙ করা হচ্ছে আপাতত। দামি রঙের কারণেই প্রতিমার বর্ণ উজ্জ্বলময় হবে, যার ফলে প্রতিমা দেখতেও হবে সুন্দর।