আধারের সমস্যায় জেরবার

শঙ্কর গুপ্তা, কালিয়াগঞ্জ, উত্তর দিনাজপুর: জেলার কালিয়াগঞ্জ শহর এ এখন সাধারণ মানুষরা আধার কার্ডের সমস্যায় জেরবার হয়ে অন্ধকার দেখছেন চারদিকে। হন্য হয়ে কালিয়াগঞ্জ এর সাধারণ মানুষরা বিভিন্ন জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করলেও আশার আলো
তারা দেখতে পাছেন না ।ফলে তাদেরএই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে শহরের সাধারণ মানুষরা এবার আধার কার্ড তৈরির সমস্যা এবং আধার কার্ডের বিভিন্ন ধরনের সংশোধনের জন্য কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌর পতি কাত্তিক চন্দ্র পাল এর শরণাপন্ন হলেন আজ । পৌরপতি সাধারণ মানুষদের কথা চিন্তা করে দ্রুত সমস্যা মেটানোর জন্য জেলা শাসকের কাছে একটি চিঠি পাঠালেন।ফলে পৌরপতির এহেন ভূমিকায় সন্তুষ্ট হয়ে এবার একটু একটু করে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন শহরের সাধারণ মানুষরা।

    কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌরপতি কার্তিক বাবু বলেন, এখন বর্তমানে সবকিছুই অনলাইনের মাধ্যমে হয়। তিনি বলেন চাকরির পরীক্ষার দরখাস্ত থেকে শুরু করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের স্কলার্শিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে যেমন আধার কার্ড অতি আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে ঠিক তেমনই পৌরসভার বিভিন্ন প্রকল্পে সাধারণ মানুষদের সেই প্রকল্পের সুবিধা পেতে লাগছে আধার কার্ড। শুধু তাই নয় বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা থেকে পৌরসভার মাধ্যমে সকলের জন্য বাড়ি প্রকল্পের সুবিধা পেতে আধার কার্ড অত্যন্ত জরুরী। না হলে সাধারণ মানুষদের সেই সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে।

    অনেক সময় দেখা যায় শহরের কোন নাগরিকের যদি আধার কার্ডে নাম বা ঠিকানা ভুল থাকে সে ক্ষেত্রে তাদের ভিশন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কালিয়াগঞ্জ এর বিভিন্ন জায়গায় হন্য হয়ে ঘুরে বেড়ালেও তাদের এই আধার কার্ডে নাম ঠিকানা র ভুল সংশোধন হচ্ছে না ।ফলে সমস্যা মিটছে না। আজ পৌরপতি জেলাশাসক কে দেওয়া তার চিঠিতে উল্লেখ করেন গত প্রায় দুই বছর হলো কালিয়াগঞ্জ এর মানুষ এই সমস্যায় জেরবার হয়ে পড়েছেন। কারণ একটাই কালিয়াগঞ্জ শহরে অনলাইনে আধার কার্ড সংশোধনের সেন্টার নেই । পৌরপতি তার চিঠিতে জেলাশাসক কে আরো অনুরোধ করেন যাতে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভায় এই ধরনের একটি সেন্টার করা হোক যেখানে নতুন আধার কার্ড তৈরি এবং আধার কার্ডের ভুল সংশোধন করা যাবে।ফলে সাধারণ মানুষরা গভীর একটি সমস্যা থেকে রেহায় পাবে। এই ধরনের আধার সেন্টার কালিয়াগঞ্জ এ না থাকার জন্য কালিয়াগঞ্জ এর বহু মানুষ বহু সামাজিক প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তার আশা জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার একজন দক্ষ প্রশাসক হয়ে যেমন জেলার উন্নয়নে গতি এনেছেন, ঠিক তেমন ভাবেই কালিয়াগঞ্জ বাসির দীর্ঘদিনের একটি সমস্যার কথা বিবেচনা করে দ্রুততার সাথে তার সমাধান করবেন বলে তার বিশ্বাস।