বক্রেশ্বর বীরভূমের মানচিত্রে অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে স্থান করে নেওয়ার কারণ, এখানে সতীপীঠ ছাড়াও রয়েছে বাবা বক্রনাথ

নিজস্ব সংবাদদাতা : ৫১ সতীপীঠের পঞ্চ সতীপীঠই রয়েছে বীরভূমে। বীরভূমের এই পঞ্চ সতী পীঠের মধ্যে আবার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হল বক্রেশ্বর। বক্রেশ্বর বীরভূমের মানচিত্রে অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে স্থান করে নেওয়ার কারণ, এখানে সতীপীঠ ছাড়াও রয়েছে বাবা বক্রনাথ। যাকেশিব রূপে বছরের পর বছর ধরে পুজো করে আসছেন ভক্তরা৷ এছাড়াও রয়েছে উষ্ণ প্রস্রবণ। যা দেখতে সারা বছর, বিশেষ করেশীতকালে এই উষ্ণ প্রস্রবণের আনন্দ নিতে বহু পর্যটকদের আগমণ লক্ষ্য করা যায়। এ বছর চৈত্রসংক্রান্তিতে এই বক্রেশ্বর ধামে প্রতিষ্ঠা করা হলো নহবত দ্বার। বক্রনাথ মন্দিরে প্রবেশ করার আগে মূল প্রবেশদ্বারে বীর রাজার আমলে এই নহবত দ্বার তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু পরে সেই নহবত দ্বার ভগ্নপ্রায় হয়ে পড়ে। এই নহবত দ্বার পুনরায় সংস্কার করার জন্য বক্রেশ্বর মন্দির কমিটি উদ্যোগ নেয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ভক্তদের সহযোগিতায় এই নহবত দ্বার সংস্কার করা হয়। এই নহবত দ্বার সংস্কার করার পাশাপাশি মহাদেব ও তার সঙ্গীদের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়। শিবের মূর্তি এখানে ধ্যানমগ্ন এবং তার পাশে রয়েছে দুটি ষাঁড়। অন্যদিকে নহবত খানার দুদিকে দ্বাররক্ষী হিসাবে রয়েছেন নন্দী ভৃঙ্গি। চৈত্র সংক্রান্তির পূন্য লগ্নে এই নহবত দ্বার প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নহবত দ্বার প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বক্রেশ্বর মন্দির চত্বরে আয়োজন করা হয়েছিল বিশেষ পুজো, হোম যজ্ঞ এবং নরনারায়ণ সেবার। অগণিত ভক্ত এদিন নরনারায়ন সেবা গ্রহণ করেন। পাশাপাশি এই নহবত দ্বার প্রতিষ্ঠাকে উপলক্ষ করে আলাদা ভাবে সেজে উঠেছে মন্দির। তিথি মেনে নির্ধারিত সময়ে বক্রেশ্বর মন্দিরের পুরোহিতরা একযোগে মন্ত্র পাঠ করে এই নহবত দ্বার এরপ্রতিষ্ঠা করেন।বক্রেশ্বর মন্দিরের সেবায়েত সন্দীপ চৌধুরী জানিয়েছেন, \”বীর রাজার আমলে তৈরি এই নহবত খানার ভগ্নদশা হয়ে গিয়েছিল। তাই সেটিকে ভক্ত এবং সেবায়েতদের আর্থিক সহযোগিতায় সংস্কার করে প্রতিষ্ঠা করা হলো। চৈত্র সংক্রান্তি দিনটি শুভ দিন হওয়ায় এই দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে।\”