লালপুর গ্রামের প্রতিটা টিউবালের মধ্যে বিষ মিশিয়ে দেওয়ার অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে

সাকিব হাসান, বারুইপুর: দঃ ২8 পরগনা জেলার জয়নগর বিধানসভার লালপুর গ্রামে রাতের অন্ধকারে প্রতিটি কলের মধ্যে বিষ দিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগের তীর শাসকদল অর্থাৎ তৃণমূলের কংগ্রেসের দিকে। লালপুর গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দা ওই জল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তারা। এবং কয়েকজন কে মথরাপুর গ্রামীণ হাসপাতাল এবং নিমপীঠ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গ্রামবাসিদের অভিযোগ সিপিআইএমের কর্মীদের উপর অত্যাচার ও তাদেরকে ভোট বয়কট করে দেওয়া হয়েছে যাতে তারা ভোট না দিতে পারে এবং সাথে সাথে ঐ গ্রামের প্রতিটি কল ভেঙে দেওয়া হয়েছে ও দেয়া হয়েছে বিষ। কিছু না বুঝে ওঠার পর সকালে সবাই জল নিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। ওই জল খেয়ে সবাই কিছুটা গন্ধ পেলেও সেই জল তারা খেয়ে ফেলে। কিছুক্ষণ পর শুরু হয়ে যায় বমি। ওই গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দাই এখন হসপাতালে ভর্তি আছে।

     

    অবস্থা দেখে গ্রামের বাসিন্দারা লালপুরে মসজিদের সামনে বিক্ষোভ দেখান। রাস্তার উপর বাঁশ এবং খুঁটি ফেলে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ চলায়। ঘন্টাখানেক চলার পর মথুরাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারের এসে উপস্থিত হন। তার আগে লালপুর গ্রামে এসে উপস্থিত হন রায়দিঘি বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অলক। অলক বাবু বলেন যে, এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে আমাদের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা কেউ এই কাজ করেনি। তিনি সম্পূর্ণ ভাবে জনগণের কাছে এই কথাটি স্বীকার করেন। কোন ব্যক্তি বদমাশি করে এই অপকর্ম করেছে। এখন জনগণ তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর দোষারোপ করছেন। অবশেষে মথুরাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারের তদন্তের দাবি নিয়ে দোষী ব্যক্তিদের কে খুঁজে বার করবেন বলে আশ্বাস দেন। সমস্ত কলগুলি এই অবস্থা দেখে প্রশাসন জলের গাড়ির ব্যবস্থা করে দেন। যতক্ষণ না সমস্ত কল পরিষ্কার করা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত প্রশাসনের তরফ থেকে জলের গাড়ির ব্যবস্থা থাকবে। এলাকায় পুলিশ পিকেট ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশাসনের আশ্বাসে এর ফলে বিক্ষোভকারীরা তাদের বিক্ষোভ তুলে নেয়।