|
---|
সাউদির যুবরাজ যৌণ রোগ পরীক্ষা করান,তিনি কি প্রবিত্র সৌদির প্রধান হওয়ার যোগ্য
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: মানুষ হিসাবে কেমন সউদি আরবের যুবরাজ বিন সালমান? আদৌ কি তিনি ইসলামের পবিত্রতম স্থানের শাসকের ভূমিকা পালনের যোগ্য? তাঁকে নিয়ে সন্দেহ ক্রমশ তীব্র হচ্ছে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের মধ্যে। পশ্চিমা সংস্কৃতি অনুকরণ করতে গিয়ে ইসলামি রীতি-রেওয়াজ ও মূল্যবোধকে ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর সম্পর্কে এমন কিছু খবর প্রকাশ হয়েছে যা শোনার পর চারদিকে ছি ছি রব পড়ে গিয়েছে। জানা গেছে, ২০১৫ সালে মালদ্বীপের ব্যক্তিগত দ্বীপের রিসর্টে আয়োজিত পার্টিতে দেশ-বিদেশের ১৫০ মডেলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সালমান। সর্বপ্রথম তাদের দেহে কোনও রকম যৌন রোগ বাসা বেঁধে রয়েছে কিনা চিকিৎসকদের দিয়ে তা পরীক্ষাও করিয়েছিলেন তিনি। কতটা বেপরোয়া ও নির্লজ্জ হলে একটা দেশের যুবরাজ হয়ে এমন কাজ করা যায়? সালমানকে নিয়ে একটি বই লিখেছেন সাংবাদিক ব্র্যাডলি হোপ এবং জাস্টিন শেক। বইটির নাম ‘ব্লাড অ্যান্ড অয়েল।’ এই বইটিতেই যুবরাজ সালমানের সব কেলেঙ্কারির ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে।
জানা গেছে, মালদ্বীপের প্রাইভেট দ্বীপে সেই পার্টির আয়োজনে ৫০ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছিলেন যুবরাজ। সেখানে ছিল মদ্যপানের সুব্যবস্থা। সারারাত ধরে ব্যাপক গান-বাজনাও চলে। সেই পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন, অ্যাফ্রোজ্যাক, শাকিরা, জেনিফার লোপেজ ও পিটবুলের মতো নামি-দামি সঙ্গীত শিল্পীরা। যুবরাজের পরিকল্পনা মতোই সব চলছিল। কিন্তু, হঠাৎই সেই খবর গণমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর বাধ্য হয়েই পার্টি বন্ধ করতে হয়েছিল। বিতর্ক এড়াতে মালদ্বীপের ব্যক্তিগত স্থানটি ছেড়ে সর্বপ্রথম পালিয়ে যান সউদি যুবরাজ নিজে। এরপরও অবশ্য থেমে থাকেননি তিনি। ৪৩৯ ফুট লম্বা একটি ইয়াচ বা জলযান কিনে নেন। তাতে ছিল, মুভি থিয়েটার ও হেলিপ্যাডের মতো সুবিধা।